ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিকে নাসিম

খালেদার মুক্তি নিয়ে কথা বলতে সংসদে আসুন

প্রকাশিত: ১০:১৪, ১ এপ্রিল ২০১৯

 খালেদার মুক্তি নিয়ে কথা বলতে সংসদে আসুন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা ইস্যুতে কথা বলার জন্য জাতীয় সংসদে যোগদান করতে দলটির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপি সংসদে যাবে কি যাবে না, সেটাই এখন তাদের জন্য বড় ইস্যু। তারা রাজপথেও নেই, সরকারেও নেই। তাই তাদের অন্য ইস্যু খুঁজে কোন লাভ নেই। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সংসদে না এলে বিএনপি শেষ সুযোগটাও হারাবে। বিএনপি নামটি রাজনীতি থেকে একেবারে মুছে যাবে। রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুল সালাম মিলনায়তনে গণ আজাদী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মহান ৪৮তম স্বাধীনতা দিবস, আজকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। গণ আজাদী লীগের সভাপতি এসকে সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহদাত হোসেন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, গণ আজাদী লীগের মহাসচিব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান প্রমুখ। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, রাজনীতিতে অভিমানের কোন মূল্য নেই। রাজপথে থেকে সংগ্রাম করে দাবি আদায় করতে হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে আর বিএনপি নেতারা রাজপথে নামেন না। ঘরে বসে অনশন করেন। বনানীর এফআর টাওয়ারের মালিককে গ্রেফতার করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, রাজউকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকাশিত খবরে জানতে পারলাম ওই ভবনের মালিক বিএনপি নেতা। এখন বিএনপি কী বলবে? দয়া করে তার মুক্তির দাবি না করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ত্রুটির জন্য সরকার দায়ী হতে পারে না। বরং সেই ব্যক্তি বা সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশে যেকোন ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করা যেন একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশে এমনটি হয় না। বিএনপিকে উদ্দেশে করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সংসদে কথার জোর থাকলে একজনই একশ’জনের চেয়ে বেশি কাজ করতে পারে। কারণ প্রয়াত বর্ষীয়ান পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একাই যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তা দেশে ইতিহাস হয়ে আছে। তাই আপনারা সাহস করে সংসদে আসুন। যারা জিতেছেন তারাই আসুন। বেগম জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কথা বলুন। তা না হলে আপনাদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ এখন আর হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও পছন্দ করে না। তাই এ ধরনের কর্মসূচীর কথা চিন্তা না করে সংসদে এসে আপনারা কথা বলুন। তা না হলে কিছুদিন পর মানুষ বিএনপির নামই ভুলে যাবে। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে চোখের মণির মতো রক্ষা করতে হবে। কারণ, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দুর্বল হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুর্বল হবে। বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে মুক্তিযুদ্ধের কোন অর্জনই থাকবে না। আর এ অর্জনকে ধরে রাখতে হলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।
×