ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ড সুবিধায় অর্থ পাচার ও শুল্ক ফাঁকি বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ১ এপ্রিল ২০১৯

 বন্ড সুবিধায় অর্থ পাচার ও শুল্ক  ফাঁকি বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বন্ড সুবিধা নিয়ে আমদানি কিংবা রফতানিতে মিথ্যা ঘোষণায় অর্থ পাচার কিংবা শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। শুল্ক গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন সংস্থার হাতে বিভিন্ন সময় আটকের ঘটনায় এমন তথ্যপ্রমাণ মিলছে হরহামেশা। গত পাঁচ বছরে শুধু শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অভিযান ও তদন্তেই বন্ড সুবিধা নিয়ে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে এক হাজার ১১৮ কোটি ৪৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকার বিভিন্ন পণ্য আটক করা হয়েছে। যার বিপরীতে ১০৯টি কোম্পানি ৫৭৮ কোটি ৯৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে বলে সংস্থাটির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ফাঁকিকৃত শুল্ক আদায়ে ইতোমধ্যে সংস্থাটি শুল্ক আইনে ১০৯টি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। যেখান থেকে জরিমানা বাবদ শত কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দা সর্বদা শুল্ক স্টেশনগুলোতে দেশের স্বার্থ সুরক্ষায় শুল্ক ফাঁকি রোধ ও ক্ষতিকর পণ্য আমদানি বন্ধে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। যদিও আমাদের জনবল অত্যন্ত সীমিত, তারপরও বলব অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের সহকর্মীরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বন্ড সুবিধা দেয়া যাতে দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো শুন্য শুল্কে কাঁচামাল আমদানি করে ফিনিসড প্রোডাক্ট বিদেশে রফতানি করতে পারে। কিন্তু অনেক অসাধু প্রতিষ্ঠান নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় বেশি বা ভিন্ন পণ্য নিয়ে আসে। তাদের জন্য আমার বক্তব্য থাকবে শুল্ক গোয়েন্দা ওই সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
×