ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সুদখোরের চাপে বিষ মিশ্রিত দই খেয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ জীবন দিলেন অর্জুন

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ১ এপ্রিল ২০১৯

 সুদখোরের চাপে বিষ মিশ্রিত দই খেয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ  জীবন দিলেন  অর্জুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৩১ মার্চ ॥ নওগাঁয় বিষ মিশ্রিত দই খেয়ে স্বামী-স্ত্রী ও শিশু সন্তানের মৃত্যু ঘটেছে। সুদখোর পাওনাদারদের চাপের মুখেই দইয়ে বিষ মিশিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে খাওয়ানোর পর নিজেও খেয়ে জীবন দিলেন অর্জুন। দই খেয়ে বিষক্রিয়ায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে শনিবার ভোরে মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের জোতহরী গ্রামে। নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের অর্জুন সরকার (৩৩), তার স্ত্রী তিথী রানী সরকার (২৬) এবং তাদের ৩ বছরের পুত্র অরণ্য ওরফে অর্নব সরকার। স্বামী-স্ত্রী ও তাদের একমাত্র শিশু সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে শনিবার সকাল থেকে দিনভর আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় গ্রামবাসীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত লোকজনের মাঝে। প্রতিবেশীরা মিডিয়া কর্মীদের জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আর্তনাদ শুনে ছুটে গিয়ে ঘরের মধ্যে অর্জুন, তিথী ও অরণ্যকে ছটফট করতে দেখেন তারা। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমেই মহাদেবপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় অর্জুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং ৩ বছরের পুত্র অরণ্য ওরফে অর্নবকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে অর্জুন, শিশু অরণ্য ওরফে অর্নব ও তিথী সরকার মারা যান। এ ঘটনায় গ্রামের লোকজন প্রথমে জানান, বিষ বা গ্যাসবড়ি মিশ্রিত দই খেয়েই স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়। মহাদেবপুর থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, দই খেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে নিহত গৃহবধূ তিথী রানীর মা মহাদেবপুর উপজেলার দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামের যমুনা রানী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল জামাই অর্জুনের পরিবারে। জমিজমা নিয়ে ছোট ভাই অসীমের সঙ্গে অর্জুনের বিবাদ লেগেই ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো দুই ভাইয়ের মধ্যে।
×