ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

নীলফামারীতে রেললাইনের মাটি লোপাট

প্রকাশিত: ০৯:১০, ১ এপ্রিল ২০১৯

নীলফামারীতে রেললাইনের মাটি লোপাট

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সচল রেলপথের নীলফামারী এলাকার রেললাইনের ধারে রেলের জমিতে অবৈধভাবে মাটি কেটে লোপাট করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে রেললাইনের ধারে সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় খাল বা গর্ত। বর্তমানে যেখানে মাটি কেটে লোপাট করা হচ্ছে সেখানে বড় গর্তের ধার দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। এমন অভিযোগে রবিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় সচেতন মহল জানায়, নীলফামারী ও দারোয়ানী রেলস্টেশনের মাঝামাঝি মনষাপাড়া গ্রামে রেললাইনের ধারে রেলওয়ে জমির মাটি কেটে লোপাট করে তা ট্রাক্টরের ট্রলিপ্রতি আটশত টাকা করে বিক্রি করছে এলাকার বড়বাড়ির আব্দুল হামিদ সরকারের নেতৃত্বে বেশ কিছু প্রভাবশালী। রেললাইনের ধারে বড় বড় খাল ও গর্ত থাকায় রেললাইন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে রেললাইন ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিন দুপুরে দেখা যায়, রাজশাহী হতে আসা আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি নীলফামারী আসছিল। মনষাপাড়া এলাকায় রেললাইনের ধারে মাটিকেটে লোপাট করার খাল ও গর্ত এলাকায় ট্রেনটি গতি কমিয়ে চলাচল করেছে। এলাকাবাসী জানায় যে সকল ট্রেন চলাচল করে গতি কমিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। জানা যায়, চিলাহাটি-নীলফামারী হয়ে প্রতিদিন ঢাকা-খুলনা-রাজশাহী পথে একাধিক আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে রেললাইনের ধারের জমির মাটি কেটে অবৈধভাবে তা বিক্রি করছে। সচেতন মহল এ ব্যাপারে রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে। এ ব্যাপারে মাটি বিক্রেতা শেফাউল গণমাধ্যমকে জানায়, জমির মালিকরা দাবি করে তার কাছে ওই জমির মাটি বিক্রি করে আব্দুল হামিদ সরকার। এ ব্যাপারে আব্দুল হামিদ সরকারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। রেলওয়ের আইডাব্লুর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রেললাইনের ধারের সকল জমি রেলওয়ের অধিগ্রহণ করা। যার মালিকানা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। যেখানে মাটি কাটা হয়েছে সেটিও রেলওয়ের। এদিকে অভিযোগ মতে নীলফামারীর সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার অসংখ্য অবকাঠামো সম্পত্তি ও জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে। কাগজ-কলমে নীলফামারী জেলায় প্রায় ৮০০ একর সম্পত্তি রেলের রয়েছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিক, কৃষি ও মৎস্য খাতে মাত্র ৭৬ একর এবং দাফতরিক স্থাপনা ২২৪ একর স¤পত্তিতে দখলদারিত্ব রয়েছে। বে-দখল হয়ে গেছে প্রায় ৫০০ একর সম্পত্তি।
×