মৃত্তিক মিরাজের ঈদের নাটক ‘বিমূর্ত চিন্তা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ-উল-ফিতরের বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় প্রচারের জন্য সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে ৬ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘বিমূর্ত চিন্তা’। নাটকটি রচনা, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা মৃত্তিক মিরাজ। নাটকটি প্রযোজনা করেছেন এম এ আউয়াল। নাটকের প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানভীর ও নাদীয়া নদী। আরও অভিনয় করেছেন কাজী উজ্জ্বল, এলিনা শাম্মী, শামীম আহমেদ, ম্যাক তামিম, পাপড়ি, রনো, নন্দিত আনিস, মোল্ড-১ সাগর, মোল্ড-২ আরিয়ান, মি. মিতায়ান আরও অনেকে। ‘বিমূর্ত চিন্তা’ নাটকের চিত্রগ্রহণে ছিলেন মোস্তাক মোরশেদ। নাটকে প্রধান সহকারী পরিচালক ইয়াসিন সুমন, সহকারী পরিচালক সুজন। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে নাটকটি প্রচার হবে বলে জানা গেছে। নাটকের গল্পটি ব্যতিক্রম। শহুরে সভ্যতার নিউ এডিশন ট্র্যাফিক জ্যাম। এই যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়নি এমন মানুষ ঢাকা শহরে নেই বললে ভুল হবে না। প্রায় অসহনীয় এই জ্যাম যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে যদি এমন কোন জুতো আবিষ্কার করা যায়, যে জুতো পড়লে মানুষ উড়তে পারবে, তাহলে কেমন হতো? ব্যাপারটা কল্পনা করতেও ভাল লাগে। এমনই একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছেন ভিন্নধর্মী তরুণ নির্মাতা মৃত্তিক মিরাজ। নাটকের গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক মৃত্তিক মিরাজ বলেন, ‘বিমূর্ত চিন্তা’ নাটকের গল্প আবর্তিত হয়েছে ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে মুক্তি পেতে বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কারকে কেন্দ্র করে। যন্ত্রকৌশলের মেধাবী ছাত্র দারায়াত ‘ফ্লাইং সু’ নামক একটি উড়ন্ত বাহন আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারকে কেন্দ্র করে শুরু হয় নিজ বন্ধুদের মধ্যে ষড়যন্ত্র। নাটকের এক পর্যায়ে দারায়াত নিখোঁজ হয়। এদিকে নায়িকা ফায়রুজ দারায়াতকে হারানোর শোকে সিজোফ্রেনিয়া রোগে আকান্ত হয়। পরিচালক আরও জানান, তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ‘ফ্লাইং সু’ আবিষ্কারের থ্রীডি নকশা দারায়াত কোথায় রেখে যায় কেউই খুঁজে পায় না। দারায়াত জীবিত না মৃত এবং ‘ফ্লাইং সু’র নকশা নিয়ে সৃষ্ট রহস্যকে কেন্দ্র করে নাটকটির গল্প সামনের দিকে এগিয়েছে। আশা করি দর্শক নাটকটি দেখে বিনোদিত হবেন।