ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দাবি নিরাপত্তা পরামর্শক ডে বেকারের

আমাজন সিইও বেজোসের ফোনে আড়ি পেতেছে সৌদি আরব

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ১ এপ্রিল ২০১৯

 আমাজন সিইও বেজোসের ফোনে  আড়ি পেতেছে সৌদি আরব

আমাজনের সিইও জেফ বেজোসের নিরাপত্তা প্রধান বলেছেন, সৌদি সরকার বেজোসের ফোনে আড়ি পেতে তার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। বেজোসের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা পরামর্শক গ্যাভিন ডে বেকার বলেন, টেলিভিশনের সাবেক উপস্থাপক লরেন সানচেজ ও বেজোসের মধ্যে খুদে বার্তা আদান-প্রদানের বিষয়টি প্রকাশিত হয়। এরপর ‘ন্যাশনাল এনকোয়ারার’ ট্যাবলয়েড পত্রিকায় প্রতিবেদন হয় যে, বেজোস তাঁর সঙ্গে ডেটিং করেছে। জানুয়ারিতে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন তিনি তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করেন বলে জানান বেকার। তাদের প্রকাশনার কয়েকদিন আগে বেজোস ও তার স্ত্রী ম্যাককেইঞ্জি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলে ট্যাবলয়েডের প্রতিবেদনের বিষয় হয়ে ওঠেন বেজোস। ফেব্রুয়ারিতে বেজোস ‘ন্যাশনাল এনকোয়ারার’ পত্রিকার মালিকের বিরুদ্ধে সানচেজের কাছে পাঠানো ‘অন্তরঙ্গ ছবি’ প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল চেষ্টার অভিযোগ করেন। ‘দ্য ডেইলি বিস্ট’ ওয়েবসাইটে জন্য লেখা এক নিবন্ধে ডে বেকার বলেন, ‘ন্যাশনাল এনকোয়ারার’র প্রধান প্রতিষ্ঠান আমেরিকান মিডিয়া ইন্ক গোপনে দাবি করেছিল যে, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সংবাদ সংগ্রহের প্রক্রিয়ার কোন প্রমাণ নেই বলে ডে বেকার স্বীকার করেছে। ডে বেকার লেখেন, আমাদের তদন্তকারী ও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সৌদি আরব বেজোসের ফোনে আড়ি পেতেছিল এবং তার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এটা অস্পষ্ট যে, যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে এ বিষয়ে আমেরিকান মিডিয়া ইনক কতটা সতর্ক। ডে বেকার অভিযোগ করেন যে, গত বছর তুরস্কে সৌদি নাগরিক সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর বেজোসের মালিকানাধীন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাকে টার্গেট করেছে সৌদি আরব। কারণ ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত লিখতেন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। ডে বেকার লেখেন, কিছু মার্কিন নাগরিক শুনে অবাক হবেন যে, জেফ বেজোসের ক্ষতি করার জন্য গত বছরের অক্টোবর থেকে উঠেপড়ে লেগেছে সৌদি সরকার। কারণ খাশোগি হত্যার পর থেকে নিয়মিত এর বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছে ওয়াশিংটন পোস্ট। সিআইএর ধারণা, সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্ভবত সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসের এক মুখপাত্রের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেজোসের বিষয়ে ‘ন্যাশনাল এনকোয়ারার’র প্রতিবেদন নিয়ে সৌদি আরবের কিছুই করার নেই। এ বিষয়ে আমেরিকান মিডিয়া ইনকের এক প্রতিনিধির মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনিও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, বেজোসের বিষয়ে প্রতিবেদন করতে তারা সঠিক পন্থাটিই অবলম্বন করেছেন। ডে বেকার বলেন, তিনি তার তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া ফল মার্কিন কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।-বিবিসি
×