ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়া থেকে নির্মিত হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্রোহ’

প্রকাশিত: ১২:০১, ৩১ মার্চ ২০১৯

বগুড়া থেকে নির্মিত হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্রোহ’

সমুদ্র হক ॥ চলচ্চিত্র নিয়ে হতাশায় মালিকরা যখন হলগুলো বন্ধের পরিকল্পনা করছেন তখন ঢাকার বাইরে বগুড়া থেকে যমুনা পাড়ের মানুষদের নিয়ে জীবনধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন বগুড়ার দুই তরুণ। নাট্য ব্যক্তিত্ব বগুড়া থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ও গ্রাম থিয়েটার কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না রচিত ‘দ্রোহ’ নাটকের গল্পটি চলচ্চিত্ররূপ দিতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তরুণ নির্মাতা সুপিন বর্মন। এর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে তার নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পোস্টমাস্টার’ ভারতের দিল্লী, নেপাল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সুনাম কুড়িয়েছে। বুধবার সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে তৌফিক হাসান ময়না বলেন, মঞ্চ নাটক দ্রোহ ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছে। ‘দ্রোহ’ গল্পটি যমুনা পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা, বাঙালীর সংস্কৃতির ঐতিহ্য, জেলে মাঝি কামার কুমোর তাঁতী ঢুলি, বেদেদের জীবনের সঙ্গে নদীর প্রবাহ নিয়ে রচিত। সর্বোপরি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নদী পাড়ের মানুষ আবহমানকাল ধরে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলেছে। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গল্পের ধারাবাহিকতায় চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ চলে আসবে। তৌফিক হাসান ময়না বলেন, সুপিনের প্রতি তার অনেক আস্থা। নির্মাতা সুপিন বর্মন বলেন, স্বল্প বাজেটে এবং স্টার কাস্টিং ছাড়া প্রতিভাবান অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে যে ভাল ও সুস্থ চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায় দর্শকরা তার প্রমাণ দিয়েছেন। ‘দ্রোহ’ মঞ্চ নাটকটি যেমন দর্শক-শ্রোতাদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে ‘দ্রোহ’ চলচ্চিত্রকেও সেই কাতারে নিয়ে যাবেন। সুপিন বর্মন বগুড়া থিয়েটারের শিল্পী। ‘দ্রোহ’ নাটকের নাট্যকার ও নির্দেশক তৌফিক হাসান ময়না। ‘দ্রোহ’ চলচ্চিত্র পরিচালনা করছেন সুপিন বর্মন। তবে চলচ্চিত্র নির্মাণে ময়নার ভূমিকাও থাকবে। সুপিন বর্মন জানান, প্রায় এক শ’ মিনিটের চলচ্চিত্রটি ডিজিটাল ফর্মেটে হাই ডেফিনেশন ক্যামেরায় উচ্চ রেজুলেশনে চিত্রায়িত হবে। প্রয়োজনে ভারতের কলকাতায়চলচ্চিত্রটি সম্পাদনা করা হবে। যমুনা পাড়ের মানুষের জীবন কাহিনী হওয়ায় শূটিং হবে বর্ষা ও শুকনো মৌসুমে। নির্মাতা আরও বলেন, বগুড়ায় অনেক ভাল শিল্পী আছেন তাদের নিয়েই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হবে। বাইরে অনেক প্রতিভাবান নতুন মুখও থাকবে। তিনি আরও জানান, ভারতের অনেক সৃষ্টিশীল নির্মাতা নতুন মুখ নিয়ে চলচ্চিত্র বানিয়েছেন। পরে তারা খ্যাতি পেয়েছেন। প্রতিভা ও সৃষ্টিশীলতা দিয়ে চরিত্রের বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলতে পারলেই সেই অভিনেতাকে দর্শকরা মনে রাখবে। চলচ্চিত্রের গ্রহণযোগ্যতা আসবে। সুপিন চেষ্টা করবেন এভাবে দ্রোহের গতিকে এগিয়ে নিতে। তিনি আশা করেন হল মালিকরা যখন ভাল চলচ্চিত্র নেই বলে হতাশ হচ্ছেন ‘দ্রোহ’ তাদের সেই হতাশা রাখবে না। তারা হলে চালাবেন, সিনেপ্লেক্স গ্রহণ করবেন। তারপরও যদি মালিকরা হলে চালাতে না চান তাহলে বিকল্পভাবে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সঙ্গে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে দর্শনীর বিনিময়ে প্রদর্শন করবেন। যারা ভাল চলচ্চিত্র আশা করেন ‘দ্রোহ’ তাদের মন জয় করবে এমনটাই আশা তাদের।
×