ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রিজভীর অভিযোগ

খালেদাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:২৮, ৩১ মার্চ ২০১৯

খালেদাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা না দিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তি না দিলে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। রিজভী বলেন, সরকার মারণাস্ত্র কিনছে কিন্তু মানুষ বাঁচানোর সরঞ্জাম কিনছে না। জবাবদিহিবিহীন এ সরকারের ব্যর্থতার কারণেই অগ্নিকা-সহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর মিছিল থামছে না। এসব ঘটনায় নিহতদের দায় সরকারকে নিতেই হবে। সরকার কোন অবস্থাতেই দায় এড়াতে পারে না। তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। রিজভী অভিযোগ করেন, স্বৈরতন্ত্রের বন্দীশালা থেকে যিনি বারবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আপোসহীন সংগ্রাম করেছেন সেই কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কৌশলে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়ে বর্তমান সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, এ মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে রাজপথ শূন্য ও আওয়াজহীন থাকবে না। কারণ, দেশের অধিকার বঞ্চিত মানুষ প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের জন্য ফুঁসে উঠছে। যেকোন মুহূর্তে বাঁধ ভাঙ্গা জনতার ঢল নেমে উল্টে দেবে ক্ষমতাসীনদের সিংহাসন। রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের দিন দিন অবনতি হচ্ছে। বিএসএমএমইউর প্রো-ভিসি, বিএমএর মহাসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং আরও এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গণমাধ্যমকে বলেছেন খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অবস্থা তাতে যে কোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁর স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ এবং খুবই উদ্বেগজনক। তারা সকলেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার সুপারিশ করেছেন। অথচ সরকার তাঁর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুনের ক্ষতচিহ্ন শুকাতে না শুকাতে গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেট সংলগ্ন কাঁচাবাজারের দেড়শ’র মতো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণেই একের পর এক অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটছে। মানুষ বাঁচাতে সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ঢাকাসহ সারাদেশের বাতাসে পোড়া মানুষের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা নেই। রিজভী বলেন, এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের দিন হেলিকপ্টারের সঙ্গে ঝুলানো বালতিতে হাতিরঝিল থেকে পানি নিয়ে বিল্ডিংয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে সেই বালতির সমস্ত পানি ফুটো দিয়ে ঝরে গেছে। অথচ উন্নত দেশে আগুন নেভাতে ও মানুষ উদ্ধারে কত আধুনিক সরঞ্জাম ও ব্যবস্থাপনা দেখতে পাওয়া যায়। এর আগে আগুনে অসংখ্য মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর পরও সরকার ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক যন্ত্রপাতিতে উন্নত করেনি। যদি করত তাহলে এত মানুষের আগুনে পুড়ে প্রাণ যেত না।
×