ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কর্ণফুলী তীরে সাম্পান মাঝিদের বৈঠা বর্জন সমাবেশ

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ৩১ মার্চ ২০১৯

কর্ণফুলী তীরে সাম্পান মাঝিদের বৈঠা বর্জন সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে ১০ সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার মানববন্ধন ও সাম্পান মাঝিদের বৈঠা বর্জন সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৭ দিনের মধ্যে কর্ণফুলী তীরের ২১৮১ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে উচ্চ আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার পাশাপাশি কর্ণফুলীর সকল ঘাট অচল করে দেয়া হবে। বেলা ১১টায় কর্ণফুলী তীরের সদরঘাটে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশ আয়োজন করা হয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত নিজেদের সাম্পান ঘাটে রেখে শত শত মাঝি মানববন্ধন ও বৈঠা বর্জনের মাধ্যমে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে বিভিন্ন বক্তা বলেন, দেশের ৯২ শতাংশ আমদানি-রফতানি যে নদী দিয়ে সম্পন্ন হয় সেই নদী রক্ষায় এত নাটকীয়তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। গত ৪ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ৬ দিন উচ্ছেদ অভিযান শেষে কি কারণে জেলা প্রশাসন নীরব হয়ে গেল তা জানার অধিকার রয়েছে জনগণের। জনগণকে অন্ধকারে রেখে অতীতে কোন ষড়যন্ত্র সফল হয়নি এখনও তা হতে দেয়া হবে না। নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এ মানববন্ধন ও বৈঠা বর্জন সমাবেশে অংশগ্রহণকারী ১০ সংগঠন হচ্ছে, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতি, সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতি, চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট সাম্পান চালক কল্যাণ সমিতি, ইছানগর বড় সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতি, কর্ণফুলী নদী ফিশিং জাহাজ যাত্রী পারাপার কল্যাণ সমিতি, সদরঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও সদরঘাট লেবার কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, কর্ণফুলী গবেষক ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম চট্টগ্রাম সভাপতি অধ্যাপক ড. ইদ্রিচ আলী, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতি উপদেষ্টা জিন্নাত আলী লেদু, আবুল কালাম, সহসভাপতি জাগির আহম্মদ, সহসম্পাদক আবদুল মালেক ও অর্থ সম্পাদক ফরিদ আহম্মদ, চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট সাম্পান চালক কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাফর আহমেদ, ইছানগর বড় সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতি সভাপতি সাইফুর রহমান, কর্ণফুলী নদী ফিশিং জাহাজ যাত্রী পারাপার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
×