ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোহলিতে মুগ্ধ গাওয়ার

প্রকাশিত: ১১:৫১, ৩০ মার্চ ২০১৯

 কোহলিতে মুগ্ধ গাওয়ার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শচীন টেন্ডুলকর, স্যার ভিভ রিচার্ডস, সুনীল গাভাস্কারসহ ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তিদের অনেকেরই পছন্দ বিরাট কোহলি। ফর্মের তুঙ্গে থাকা ভারতীয় সুপারস্টারের ব্যাটিংয়ে এবার মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন ডেভিড গাওয়ার। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেন, ‘কোহলি এখন বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার। আমার সবচেয়ে যেটা ভাল লাগে, চাপ ওকে কখনই কাবু করতে পারেনি। ওর মানসিকতাটাই সে রকম। এত বড় দেশ, এত প্রত্যাশার চাপ। কিন্তু ব্যাটিংয়ে- নেতৃত্বে কি দুর্দান্তভাবেই না সামলাচ্ছে। দেখে মনে হয়, প্রতি ম্যাচেই মজার ছলে সেঞ্চুরি করে যাচ্ছে। বেশি ভাল লাগে হার না মানা মানসিকতা।’ সময়ের সেরাদের লিস্ট করলে কোহলির নাম সবার ওপরে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ৬১ বছর বয়সী গাওয়ার ১৯৭৮-১৯৯২ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ১১৭ টেস্ট ও ১১৪টি ওয়ানডে খেলেছেন। ঝুলিতে রয়েছে ১১ হাজারের ওপরে রান, ২৫টি সেঞ্চুরি। ক্রিকেটের মান বদলায়নি। ধরন বদলেছে। আগেও যেমন প্রতিভা ছিল, এখনও আছে। শুধু নামগুলো পাল্টেছে। তবে একটা বিষয় এখন অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে, সেটি ফিটনেস। আর এখানেও কোহলি আইডল বলে স্বীকার করেন গাওয়ার। দ্য টেলিগ্রাফ ও বেঙ্গল ক্লাব আয়োজিত মনসুর আলি খান পাতৌদি স্মারক বক্তৃতায় ক্রিকেটের খুটিনাটি এবং সাম্প্রতিক অনেক বিষয় নিয়েই কথা বলেন। এক শ’র ওপরে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলেছেন। ধারাভাষ্যকারও। তার সময়ে বিশ্বের সেরা স্টাইলিশ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বলা হয় গাওয়ারকে। আইপিএল দেখতে ও পাতৌদির বক্তৃতা দিতে ভারতে আসা ইংলিশ গ্রেটকে ঘিরে এখনও সংবাদ মাধ্যমের আগ্রহ অনেক। অনুষ্ঠানে পাতৌদি স্ত্রী শর্মিলা ঠাকুরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বক্তৃতার প্রথমেই ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতমসেরা অধিনায়ককে নিয়ে তিনি বলেন, ‘টাইগার পাতৌদি (ইংলিশ ঢংয়ে)। দুটোই নাম, দুটো শব্দই কিংবদন্তি। প্রথম নামটা জঙ্গলে বহুবার শিকার হয়েছে, দ্বিতীয় জনকে কিন্তু ক্রিজে বিশ্বজুড়ে সেভাবে শিকার করা যায়নি।’ একজন সেরা ক্রিকেটার হতে গেলে কী কী বৈশিষ্ট্য থাকা চাই? ‘প্রতিভা, উচ্চাকাক্সক্ষা, মনের জোর আর কাজটার প্রতি প্রচ- ভালবাসা’ বলেন গাওয়ার। আইপিলে সম্প্রতি রবিচন্দ্রন অশ্বিন যে জস বাটলারকে ‘মানকড়’ আউটের ফাঁদে ফেলেন এ বিষয়ে তার মন্তব্য, ‘যা হয়েছে সেটা অবশ্যই ভুল। ক্রিকেটের আইনে যতই মানকড়ীয় আউট থাক, আমার মত এমনই। যদি অশ্বিন মনে করে থাকে ও ঠিক করেছে, তাললে সেটা ওর নিজের ব্যাপার। তবে এটা নিয়ে সে কখনও না কখনও অনুশোচনা করবে।’ ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। খেলাটির প্রতি দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতার বিষয়ে জোর দিতে বলেন গাওয়ার। উল্লেখ্য, ‘২৫ মার্চ প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে ‘মানকড়’ আউটের ফাঁদে ফেলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। বোলিংয়ের সময় শেষ মুহূর্তে এ্যাকশন থামিয়ে ননস্ট্রাইক এন্ডে ক্রিজের বাইরে থাকা বাটলারের বেল ফেলে দেন তিনি। আইনে এ ধরনের আউট বৈধ হলেও খেলোয়াড়ের স্পোর্টসম্যানশিপ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অশ্বিনকে ঘিরে ছি ছি পড়ে যায়। বর্তমান-সাবেক তারকা ক্রিকেটার, এমনকি খোদ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআইও) এটিকে সমর্থন করতে পারেননি। তারা ঘটনাটিকে ‘পেছন থেকে বাটলারের পিঠে ছুরি মারা’ বলে অভিহিত করে।
×