ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাশরাফিদের চূড়ান্ত দলে থাকছে না কোন চমক!

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ৩০ মার্চ ২০১৯

  মাশরাফিদের চূড়ান্ত দলে থাকছে না  কোন চমক!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য বাংলাদেশের যে ওয়ানডে দলটি ছিল সেই দলটিই সম্ভবত বিশ্বকাপেও থাকছে। তাই যদি হয় তাহলে বিশ্বকাপ দলে কোন চমক থাকছে না! অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, সহঅধিনায়ক সাকিব আল হাসান, সিনিয়র তিন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদতো থাকছেনই। এ ক্রিকেটারদের সঙ্গে লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান রুম্মন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেনের থাকাও নিশ্চিত। এরপর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাঈম হাসান অথবা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাসকিন আহমেদ থাকতে পারেন। যেহেতু বিশ্বকাপের দল হবে ১৫ সদস্যের। তাই এই ১৫ সদস্যকেই শেষ পর্যন্ত দেখা যেতে পারে। বিশ্বকাপে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই। আর যারা দলে আছেন তাদেরই বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ দেয়া হবে। যদি কারও ইনজুরি হয়, তাহলে অন্য বিষয়। ফিটনেসে সমস্যা থাকলেও অন্য বিষয়। ইনজুরি ও ফিটনেস সমস্যা না থাকলে এই ১৫ সদস্যই বিশ্বকাপে যেতে পারেন। এমন আভাস আসলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই দিয়ে রেখেছেন। বিশ্বকাপ শুরু হবে ৩০ মে। এখনও দুইমাস বাকি। ১৮ এপ্রিল দল ঘোষণা করা হতে পারে। ২২ এপ্রিল থেকে প্রস্তুতি শুরু হবে। এরপর বিশ্বকাপের আগে যেহেতু আছে আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি সিরিজ, তাই ১ মে সেই সিরিজ খেলতে যাবে দল। বিশ্বকাপের দলটিই তিনজাতি সিরিজে খেলবে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে ২ জুন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, ওভালে। পরেরটি ৫ জুন, একই ভেন্যুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রাথমিকপর্বে বাংলাদেশ একটিই দিবারাত্রির ম্যাচ খেলবে, সেটি কিউইদের বিপক্ষে। ৮ জুন ‘পয়া ভেন্যু’ কার্ডিফে বাংলাদেশ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ১১ জুন ব্রিস্টলে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ১৭ জুন টন্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবেন মাশরাফিরা। ২০ জুন ট্রেন্টব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার পর ২৪ জুন সাউদাম্পটনে বাংলাদেশ পাবে আফগানিস্তানকে। ২ জুলাই বার্মিংহ্যামে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। ৫ জুলাই শুক্রবার লর্ডসে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। ৯ জুলাই ম্যানচেস্টারে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল, ১১ জুলাই বার্মিংহ্যামে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। ১৪ জুলাই লর্ডসে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। সেমিফাইনালে খেলতে হলে বাংলাদেশকে অনেক কঠিন পথের সম্মুখীন হতে হবে। কঠিন পথ পাড়ি দিতে অভিজ্ঞ দল থাকাও জরুরী। তাই নিয়মিত ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়া হতে পারে। পাপন দল নিয়ে বলেছিলেন, ওপেনিংয়ে তামিম ও লিটন থাকছে। তিনে সাকিব। চারে মুশফিক, পাঁচে মিঠুন, ছয়ে মাহমুদুল্লাহ রয়েছেন। সাত ও আটে সৌম্য, সাব্বির, সাইফউদ্দিন, মিরাজের মধ্যে যে কোন দুইজন। নয়ে মাশরাফি, দশে রুবেল অথবা তাসকিন থাকবেন। এগারো নম্বরে মুস্তাফিজ অটোমেটিক থাকছেন। ১৪ জন হয়েই গেল। এর বাইরে একজন স্পিনার নিলে নাঈম হাসান থাকতে পারেন। স্পিন অলরাউন্ডার নিলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও সুযোগ পেতে পারেন। পাপনের কথাগুলো থেকেই ইঙ্গিত মিলে চমকের কোন সুযোগ নেই। প্রতিটি দলই বিশ্বকাপে চমক রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলাদেশ সেই পথে হাঁটবে না বোধহয়। দল যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ভালই চলছে। তামিমের সঙ্গে লিটনকে ভরসা করতে হচ্ছে। লিটন যে কোন মুহূর্তে যে প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কের হয়ে উঠতে পারেন। এশিয়া কাপের ফাইনালে তার ১২১ রানের ইনিংসই প্রমাণ বহন করে। নিউজিল্যান্ড সফরে মিঠুনও নিজের যোগ্যতা দেখিয়েছেন। সৌম্যও ফর্মেই আছেন। পাশাপাশি একজন ওপেনারও দরকার। সেই সঙ্গে পেস অলরাউন্ডারও তিনি। সাত নম্বরেও খেলতে পারেন। সাব্বিরতো অটোমেটিক চয়েজ হয়েই গেছেন। নিউজিল্যান্ড সফরে শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই কাজের কাজ করে ফেলেছেন। পেস অলরাউন্ডার হিসেবে সাইফউদ্দিনও সুযোগটা পেয়ে যেতে পারেন। তাসকিনকে নিয়ে একটু শঙ্কা আছে। ফিটনেস সমস্যা নিয়েও আছে চিন্তা। তবে শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি সিরিজে তাসকিনকে পাঠিয়ে দেখা হতে পারে। সেখানে পাস মার্ক তুলতে পারলেই তাসকিনও থাকবেন। তাসকিন যদি কোনভাবে ছিটকে পড়েন তাহলে নতুন কাউকে দেখা গেলেও যেতে পারে। না হলে পুরনো দলই থাকবে। কোন চমক দেখার মিলবে না তখন।
×