ঢাবির কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারিত হওয়া অধ্যাপক শবনম জাহানকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সিন্ডিকেট সভা। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে বিষয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ এর পাশাপাশি লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয় সভায়। শুক্রবার সিন্ডিকেট সদস্য ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিশ^বিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিন্ডিকেটের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, কুয়েত মৈত্রী হলের ঘটনায় সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শবনম জাহানকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাকে ওই ঘটনার জন্য এককভাবে দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া তাকে স্থায়ীভাবে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে না সে বিষয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হককে প্রধান করে কমিটি গঠিত হয়। গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে সিলমারা বস্তা ভর্তি ব্যালট পেপার পাওয়ায় কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল। পরে হলের প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে শবনম জাহানকে অপসারণ করে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয় অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিনকে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক। ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ এর সঙ্গে লিখিত পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সিন্ডিকেট সভায় একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে এমসিকিউ এর পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হওয়ার পর একইসময়ে ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ হবে। বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি অনুযায়ী হবে সিদ্ধান্ত। তবে এমসিকিউ এর জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হবে। এসব বিষয়ে প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিল ও জেনারেল এ্যাডমিশন কমিটি এ বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেবে। এটি প্রক্রিয়া আগামী ভর্তি পরীক্ষা থেকেই কার্যকর হবে।