ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চার হাজার চার শ’ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি

প্রকাশিত: ০৯:২১, ৩০ মার্চ ২০১৯

 চার হাজার চার শ’ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি

জীবাশ্ম জ্বালানি পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ কারণে কয়লা, তেল ও গ্যাস চালিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতি বছর শুধু ব্রিটেনের জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় চার হাজার চার শ’ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন কর্মীরা। ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ নামে পরিবেশ আন্দোলন সংস্থা বলেছে, বায়ু দূষণকারীদের বিরুদ্ধে নতুন নীতিমালার আওতায় এনে যেসব প্রতিষ্ঠান বেশি মাত্রায় কার্বন নির্গমন করবে তাদের ওপর বেশি পরিমাণে নতুন করে কার্বন শুল্ক ধার্য করতে হবে। তাদের এ শুল্ক থেকে প্রাপ্ত অর্থ সবুজায়নে সহায়হক হবে। পরিবেশ আন্দোলনকারীদের দাবি, জীবাশ্ম জ্বালানি পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনে এর কার্যকর প্রভাব নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এসবের কারণে আবহাওয়া যে ক্রমে বিরূপ আকার ধারণ করছে তাও বলা হয়েছে। ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থের নীতিমালা বিষয়ক প্রধান মাইক চাইল্ডস বলেন, যেসব কোম্পানি বায়ু দূষণ ঘটাবে তাকে অবশ্যই অর্থ দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তণের ভয়ঙ্কর প্রভাব মোকাবেলায় এসব অর্থ কাজে লাগাতে হবে। চাইল্ডস আরও বলেন, যুগ যুগ ধরে কয়লা, তেল ও গ্যাসচালিত প্রতিষ্ঠান এসব পদার্থ নিষ্কাশন, প্রক্রিয়াজাত ও বিক্রি থেকে লাভবান হয়েছে। আর মানুষের এসবের ক্ষতিকর প্রভাবের চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী প্রকৃতিতে পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। জলবায়ুর ওপর এসবের বিরূপ প্রভাবের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তে ভয়াবহ বন্যা, খরা ও দাবানলের মতো দুর্যোগ হচ্ছে। এসবের ওপর বিশ্লেষণ করে ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ কর্তৃপক্ষ প্রতি টন কার্বন নির্গমনের ওপর কর ধার্য করার পক্ষপাতি। পরিবেশ আন্দোলনকারীরা ব্রিটেনের ছয়টি জীবাশ্ম জ্বালানি পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের ওপর গবেষণা করেছে। তারা শুধু কোম্পানিগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর তাদের ভূমিকা নিয়ে কাজ করেছে। সংস্থাটি আপাতত জলবায়ু পরিবর্তনে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছে। তবে এই জ্বালানির কারণে বায়ু দূষণজনিত কারণে মানব স্বাস্থ্যের ওপর যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে তা নিয়ে আপাতত আলোকপাত করেনি। জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় চার হাজার চার শ’ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দেয়ার পাশাপাশি এসব কোম্পানিকে শুধু ব্রিটেনের জন্য অতিরিক্ত দু’হাজার দুই শ’ কোটি পাউন্ড পাবলিক বিনিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। আবার এর সঙ্গে কার্বন শুল্কও অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছে ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ। জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় জ্বালানি সাশ্রয়ী বসতবাড়ি নির্মাণ, গণপরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বৃক্ষরোপণের ওপর আরও বিনিয়োগের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া অতি বন্যার প্রভাব বৃদ্ধি রোধ, দাবানল, উষ্ণতা ও সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি ঠেকানোর জন্য অতিরিক্ত অর্থায়নের দাবি করেছে ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ। তবে এ বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছে, ব্রিটেনের তেল ও গ্যাস ব্যবসায়ীদের সংগঠনের পরিচালক মাইক টোলেন। তিনি বলেন, আমরা কোম্পানিগুলোকে ভবিষ্যতে বায়ু দূষণ ঠেকাতে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছি। -ইন্ডিপেনডেন্ট
×