ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি ॥ পরিবেশ বিপন্ন

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ৩০ মার্চ ২০১৯

 কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি ॥ পরিবেশ বিপন্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৯ মার্চ ॥ কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সাপাহার উপজেলাসহ জেলাজুড়ে ইটভাঁটিগুলোতে অবৈধভাবে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। বৃক্ষ উজাড় করে ভাঁটিগুলোতে কাঠ পোড়ানোর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিপন্ন হয়ে পড়ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এসব দেখার কেউ নেই। সাপাহার উপজেলার মফস্বল এলাকা শিমুলডাঙ্গা রামাশ্রম গ্রামের অদূরে তেমনি একটি ইটভাঁটিতে টিনের চিমনী ও এলাকার বনায়ন ধ্বংস করে সম্পূর্ণ কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট। এই ভাঁটিতে পরিবেশবান্ধব কোন জিনিসের বালাই নেই। জেলার অধিকাংশ ইটভাঁটির কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। যা ইচ্ছে তা করেই সারা সিজন ধরেই চলছে ভাঁটিতে ইট পোড়ানোর কাজ। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কয়েক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ওই এলাকায় এসে কৃষকের ধান চাষের জমি লিজ নিয়ে তাদের এই ইটভাঁটি চালিয়ে আসছে।সম্প্রতি ওই এলাকায় গেলে সাধারণ এই ভাঁটিটি চোখে পড়ে। ভাঁটিতে গিয়ে দেখা যায়, ড্রাম টিনের ছোট একটি চিমনী ভাঁটির ওপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চিমনীর চতুর দিকে রয়েছে শুধু কাঠ আর কাঠ। এছাড়া ভাঁটিতে জ্বালানো কাঠগুলো সাইজ করার জন্য ওই ইটভাঁটির ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে একটি করাত কল।যা দিয়ে ভাঁটির কাঠগুলো ছোট ছোট টুকরো করা হয়। ভাঁটিতে গিয়ে ইটভাঁটির মালিককে পাওয়া না গেলে মোবাইল ফোনে কথা হয় তার সঙ্গে। এ সময় তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসনসহ কথিত কিছু স্থানীয় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই বহুদিন ধরে তিনি ওই ভাঁটিটি চালিয়ে আসছেন। তবে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্যও তিনি এই প্রতিবেদকে অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে তিনি কখনও জানতেন না। জানতে পারলে অনেক আগেই ব্যবস্থা নেয়া হতো। তবে এখন তিনি জানতে পেরেছেন। সরজমিনে গিয়ে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ইউএনও। ওই এলাকার সাধারণ জনগণ জানান, ভাঁটির মালিক অনেক টাকাওয়ালা লোক। সাধারণ মানুষ তাকে জমি লিজ দিচ্ছে। আমাদের চাষাবাদের ওপর এর প্রভাব পড়লেও কে শোনে আমাদের কথা। তাই তারা কারও কাছে কোন অভিযোগ করেনি। তবে ভাঁটিটি সব নিয়মনীতি মেনে ইট তৈরি করলে ভাল হতো। যাতে তারা সরকারী সব নিয়ম নীতি মেনে পরিবেশ বান্ধবভাবে ভাঁটিটি চালায়, এজন্য তারা সংশ্লিষ্ট দফতরের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
×