ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ১১:১৩, ২৯ মার্চ ২০১৯

 ঝলক

মোদিকে নিয়ে ওয়েব সিরিজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বায়োপিক মুক্তি পাওয়ার কথা ৫ এপ্রিল। আর এই এপ্রিলেই শুরু হবে নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি ওয়েব সিরিজ। মোদির ছোটবেলা থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত গোটা জীবনটা তুলে ধরা হবে ওয়েব সিরিজে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ৩ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের ট্রেলারে দেখানো হয়েছে তারই ঝলক। সিরিজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা আশিস শর্মাকে। কিশোর মোদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফইজল খান। ট্রেলারে যেমন উঠে এসেছে মোদির জীবন কাহিনী, তেমনই উঠে এসেছে গুজরাটের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ এবং জরুরী অবস্থার কথা। সেন্সর বোর্ডের সদস্য মিহির ভুটা ও রাধিকা আনন্দ লিখেছেন এর চিত্রনাট্য। পরিচালনা করেছেন উমেশ শুক্লা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে শিয়রে নির্বাচন। এই মৌসুমে কি মোদির বায়োপিক নিয়ে ওয়েব সিরিজ করা বিজেপির প্রচারের নামান্তর? কারণ, প্রধানমন্ত্রীর জীবন নিয়ে যে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে তার নির্মাতাদের ইতোমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ছবির মুক্তি পেছানোর দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইনজীবী। ছবিটির ওপর নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক, এমন দাবি তুলে সরব হয়েছিল কংগ্রেসও। এমনকি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকও হয়। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার তরফে ছবির নির্মাতাদের রীতিমতো হুমকি দেয়া হয়। জানিয়ে দেয়া হয়, নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্রে ছবি মুক্তি পেলে ফল ভাল হবে না। এরপরই ছবির নির্মাতাদের নোটিস ধরায় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোন রাজনৈতিক ছবির প্রদর্শন করা যায় না। ৩০ মার্চের মধ্যে নোটিসের জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিজেপির অরুণ জেটলি অবশ্য বাকস্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করে ছবিটির সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন। তবে প্রশ্ন এখানে অন্য জায়গায়। মোদির ছবির ওপর যে খড়গ নেমে এসেছে, তার ওয়েব সিরিজের ওপরও কি একই প্রভাব পড়বে? কারণ এটিও ভোটের মুখেই মুক্তি পাচ্ছে। -ওয়েবসাইট শুয়ে থাকার চাকরি দিচ্ছে নাসা ঘুমানোর চাকরি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে মোট ২৪ জনকে চাকরি দেয়া হবে। তাদের কাজ হবে নাসার গবেষণার অংশ হিসেবে ৬০ দিন গবেষণাগারের বিছানায় শুয়ে থাকা। এ জন্য তাদের প্রত্যেককে বেতন হিসেবে দেয়া হবে ১৪ হাজার ১৭৭ পাউন্ড। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫০৯ টাকা। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সঙ্গে সমন্বিতভাবে এ গবেষণা পরিচালনা করছে নাসা। এজন্য বাছাইকৃত ২৪ জন আগামী সেপ্টেম্বরে জার্মান এ্যারোস্পেস সেন্টারে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সেখানেই বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য দুই মাস ধরে শুয়ে থাকতে হবে তাদের। এর মাধ্যমে কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। জার্মানিতে তাদের দুইটি দলে ভাগ করে দিয়ে একটি কক্ষে রাখা হবে। এ সময়ের মধ্যে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক কাজ সবকিছুই করতে হবে শুয়ে শুয়ে। তবে যাতে বিরক্তির উদ্রেক না হয় সেজন্য তাদের জন্য থাকছে বিনোদনের ব্যবস্থা। তাদের জন্য একটি টেলিভিশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বই পড়াসহ শুয়ে শুয়ে অবসর যাপনের যাবতীয় উপাদান থাকছে রুমটিতে। তাদের পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর রাখবে কর্তৃপক্ষ। তবে আয়োজকদের পরামর্শ হচ্ছে, এই অখন্ড অবসরে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করে নেয়া যেতে পারে। নাসার প্যাকেজটি মূলত ৮৯ দিনের। ঘুমানোর ৬০ দিনের আগে পরে সবার সঙ্গে পরিচিত হওয়া, নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়ানো এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতির মতো আনুষঙ্গিক কার্যাবলিতে ব্যয় হবে। অংশগ্রহণকারীদের শুয়ে থাকার ধরন হবে কিছুটা ভিন্ন। রক্তপ্রবাহ কমাতে তাদের মাথার চেয়ে পা কিছুটা উপরে থাকবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গবেষণা মহাকাশে তাদের দীর্ঘ যাত্রাকালীন অবস্থা নিয়ে কোন সুফল নিয়ে আসতে পারে। -ইন্ডিপেনডেন্ট
×