ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ ২০১৯

আমিরের ফর্ম নিয়ে চিন্তিত পাকিস্তান

প্রকাশিত: ১১:৪১, ২৮ মার্চ ২০১৯

আমিরের ফর্ম নিয়ে চিন্তিত পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তান ক্রিকেটে বহুল আলোচিত নাম। ২০১০ সালে লর্ডসে তোলপাড় ফেলে দেয়া সেই ফিক্সিং কেলেঙ্কারির অপরাধে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। অনেকে ভেবেছিলেন এতটা সময় বাইরে থাকার পর ফেরাটা তারজন্য কঠিন-ই হবে। কিন্তু অনুমান ভুল প্রমাণ করে আমিরের প্রত্যাবর্তন ছিল দুর্দান্ত। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-বধের অন্যতম রূপকার তিনি। কিন্তু ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ সামনে রেখে তাই দলের অন্যতম স্ট্রাকই বোলারের ফর্ম নিয়ে চিন্তিত পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার। আমির বড় ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়া পেসার, এটা স্বীকার করে নিয়েই তিনি বলেছেন আমিরের ফর্ম নিয়ে আমিরের চেয়ে বেশি চিন্তিত আর কেউ নয়। আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারকা ক্রিকেটারদের বিশ্রাম এবং বিশ্বকাপ দলের সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেছেন আর্থার। পাকিস্তান কোচ বলেন, ‘ওর বড় ম্যাচে ভাল খেলার ক্ষমতা আছে এবং আমরা সামনে ওকে কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেটা ভেবে দেখব। আমিরের ফর্ম চিন্তায় ফেলার মতো এবং আমিরের চেয়ে আর কেউই এটি নিয়ে বেশি চিন্তিত নয়। আমি এখনও মনে করি, ও খুব দক্ষ বোলার এবং সফল হওয়ার সব গুণই আছে।’ পারিবারিক ঝামেলার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে পারেননি আমির। শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৫৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। দলের বড় হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আর মাঠেই নামানো হয়নি তাকে। আমিরের বদলে সুযোগ পেয়ে ১৮ বছরের মোহাম্মদ হাসনাইন প্রশংসা কুড়িয়েছেন। টেস্ট দলে ভাল করার পুরস্কার হিসেবে মোহাম্মদ আব্বাসেরও ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে এই সিরিজে। জুনাইদ খান ও শিনওয়ারির এ সিরিজে সুযোগ পাওয়ার কথা। আর বিশ্বকাপ দলে শাহিন আফ্রিদি ও হাসান আলী তো বহু আগেই নিশ্চিত। আমিরের কি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে যাওয়া হবে, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে ইচ্ছাকৃতভাবে নো বল করায় দীর্ঘ পাঁচ বছর নির্বাসনে ছিলেন মোহাম্মদ আমির। যে কারণে ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে তার সার্ভিস পায়নি পাকিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই তার অভাবটাও হাড়ে হাড়েই টের পেয়েছিল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপেই আগের হতাশা কাটানোর টুর্নামেন্ট মনে করা হচ্ছিল, যেখানে দেশটি এ প্রজন্মের সেরা পেসারকে খেলাতে পারবে। কিন্তু পরিস্থিতি এখন এমন যে বিশ্বকাপ স্কোয়াডেই আমিরের জায়গা পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। প্রত্যাবর্তনের পরও যে বোলিং ধার কমেনি তার প্রমাণ তিনি রেখেছিলেন ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। কিন্তু তারপর থেকেই যে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের পর এ পর্যন্ত আমির ওয়ানডেতে ১০১ ওভার বল করেছেন। ৬০০’র বেশি বল করে তার উইকেট মাত্র ৫টি। অর্থাৎ ১২১ স্ট্রাইকরেট! এটা পাকিস্তান তো বটেই তার নিজের জন্যও বেশ হতাশার। গত দেড় বছর সময়টা আমিরের খারাপ গেলেও কোচ মিকি আর্থার ছিলেন তার পাশেই। তিনি আশা করেছিলেন দুর্দান্ত পারফর্ম করেই এ ডানহাতি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবেন। কিন্তু এখন কোচ নিজেই আমিরের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন। দশ বছরের ক্যারিয়ারে (নিষেধাজ্ঞা বাদ দিলে কার্যত পাঁচ বছর) ৩৬ টেস্টে আমিরের শিকার ১১৯ উইকেট। ৫০ ওয়ানডেতে বাঁহাতি পেসারের শিকার ৬০টি। ৪২ টি২০তে ৫৫।
×