ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হলি আর্টিজানে হামলা

শাহ আলী থানার ওসির সাক্ষ্য নিল ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২৮ মার্চ ২০১৯

শাহ আলী থানার ওসির সাক্ষ্য নিল ট্রাইব্যুনাল

কোর্ট রিপোর্টার ॥ হলি আর্টিজানে হামলা মামলায় শাহ আলী থানার ওসি পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ সালাউদ্দিন মিয়ার সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মজিবুর রহমান এ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া ঘটনার সময় গুলশান থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট এ্যান্ড বেকারিতে জঙ্গী হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশীসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। সেদিন যৌথবাহিনীর অভিযানে ছয় জঙ্গীর সবাই নিহত হয়। ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে গোলাগুলির সংবাদ পেয়ে দ্রুত তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি এসআই ফারুকসহ অনেককে দেখতে পান। রেস্তরাঁর ভেতরে সন্ত্রাসীদের আল্লাহু আকবার ধ্বনি দেয়া এবং গুলি করা ও বোমা নিক্ষেপ করার শব্দও তিনি শুনতে পান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৭৯/২০ নম্বর বাড়ির পাশে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড ও গুলিবর্ষণ করতে থাকে। ওই সময় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিনসহ ৩০/৩৫ জন গুরুতর আহত হন। কিছু সময় পর সালাহউদ্দিনের মৃত্যুর খবর শুনতে পান বলে জানান পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া। পরদিন যৌথবাহিনীর অভিযানে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা দেশী-বিদেশী নাগরিকদের হত্যা করে। তিনি লাশগুলো উদ্ধারের পর সুরতহালের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ওই ঘটনায় ওই বছর ৪ জুলাই গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তিনি ওই মামলার রেকর্ডিং অফিসার ছিলেন। সাক্ষ্যদান শেষ হলে আসামি পক্ষে আইনজীবী ফারুক আহমেদ এ সাক্ষীকে জেরা করেন। জেরা শেষে আগামী ৩ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করা হয়। এ নিয়ে মামলাটিতে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। সাক্ষ্যগ্রহণকালে আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন, শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদ, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গী রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছর ২৬ নবেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করার পর গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
×