ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

র‌্যাব পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে ৬ সন্ত্রাসী নিহত

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২৮ মার্চ ২০১৯

র‌্যাব পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে ৬ সন্ত্রাসী নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী ঢাকাসহ তিন জেলায় র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে ছয় সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। নিহতরা একাধিক মামলার আসামি ছিল। কক্সবাজারের পৃথক স্থানে গোলাগুলিতে দুই রোহিঙ্গাসহ চারজন নিহত হয়েছে। আর ঢাকায় র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে নরসিংদীর এক শীর্ষ সন্ত্রাসী ও গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে এক ছিনতাইকারী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলগুলো থেকে ইয়াবা, অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার রাত বারোটার দিকে রাজধানীর মাটিকাটায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলি হয়। রাত একটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আহত এক র‌্যাব সদস্য ও এক সন্ত্রাসীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম শফিক (২৮)। ঘটনার সময় গ্রেফতারকৃত প্রদীপ চন্দ্র (৩৫) ও ফারুক হোসেন (৩২) নিহত শফিকের দুই সহযোগী। র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানান, নরসিংদীর অপরাধীদের তালিকায় এক নম্বর আসামি ছিল শফিকুল। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা, চারটি অস্ত্র মামলাসহ অন্তত ডজনখানেক মামলা আছে। এদিকে কক্সবাজার ও গাজীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, বুধবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ঝিমংখালীর খারাংখালী নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়। বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, প্রতিদিনের মতো তারা টহল দিচ্ছিল। এ সময় দুই ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। সেখানে কর্তব্যরত বিজিবির সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিজিবিও গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে একটি কাপড়ে বাঁধা এক লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। পরে পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহতরা হলেন, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোঃ তাহেরের ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াস (১৮) ও বালুখালী ক্যাম্পের মোঃ ইদ্রিসের ছেলে মোঃ ফারুক মিয়া। তাদের গলায় রোহিঙ্গা কার্ড ছিল। অপরদিকে বুধবার ভোর চারটার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা ঘাট এলাকায় র‌্যাব-৭ এর টহল দলের সঙ্গে জলদস্যুদের গোলাগুলি হয়। র‌্যাবে কর্মরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর মেহেদী হাসান জানান, গোলাগুলির পর সেখানে অভিযান চালিয়ে দুই জনের লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। লাশ পেকুয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর গাজীপুরার বাঁশপট্টিতে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে কাউসার (২৮) নামে এক ছিনতাইকারী নিহত হয়। কাউসার টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ৬ নম্বর ব্লকের মিন্টু মিয়ার ছেলে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে কাউসার গ্রেফতার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতির একাধিক মামলা আছে। কাউসারকে নিয়ে বুধবার ভোরে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আহত কাউসারকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
×