ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সার্ভারে প্রবেশ করে হ্যাকিং রোধে রাজস্ব বোর্ডের ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল

প্রকাশিত: ১১:০১, ২৮ মার্চ ২০১৯

সার্ভারে প্রবেশ করে হ্যাকিং রোধে রাজস্ব বোর্ডের ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সার্ভারে প্রবেশ করে হ্যাকিংয়ের ঘটনারোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। হ্যাকিং পুনরাবৃত্তি রোধে টেকনোলজি আরও উন্নতি করা উচিত বলেও মনে করেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের বিদ্যমান পাসপোর্ট চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দুই মিলিয়ন পাসপোর্ট বুকলেট ও ২ মিলিয়ন লেমিনেশন ফয়েল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয় বৈঠকে। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড় করে নেয়ার আগেই আমাদের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল। তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে হয়েছে এগুলো। এ বিষয়ে অফিসে গিয়ে ব্যবস্থা নেব, কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটা আমরা নেব। আমার মনে হয় আমাদের আগ থেকেই ব্যবস্থা নেয়ার দরকার ছিল। অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা একই রকমভাবে হচ্ছে। রিটায়ার্ড অফিসার যারা আছেন তাদের আইডি কার্ড ইউজ করে সেখানে রিচ করা হয়। ওই এলাকা তারকাঁটার বেড়া দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, না হলে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তখন আইডি কার্ড ইউজ করতে পারবে না। আইডি কার্ড দূর থেকে ইউজ করতে পারবে না, ভিতরে যেতে হবে সার্ভারে ঢুকতে হলে। আমার মনে হয় আরও বেশি সংরক্ষিত হওয়া দরকার। তিনি বলেন, যত টেকনোলজি ডেভেলপ করবে তত এই বিপদগুলো থেকে যাবে। আমাদের টেকনোলজি কিন্তু বাড়াচ্ছি, সেফটি-সিকিউরিটি বাড়াচ্ছি না। প্রত্যেকটির পিছনে যে ফায়ারওয়াল বলি, একাধিক ফায়ারওয়াল রাখতে হবে। একটা ভাঙ্গলে যেন আরেকটায় আমরা সিকিউরড থাকি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, কমিটি করে কী লাভ হবে? কমিটি করে কমিটি বলতে পারবে কী করলে এটা হবে না? তদন্ত তো বহু দিন থেকে করছে। কিছু হলে তদন্ত কমিটি হয়, কিন্তু আমরা ফলাফল খুব কমই পাই। রিপোর্ট পেলে আমরা পদক্ষেপ নেব। বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×