ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পদত্যাগের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চাই

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ২৮ মার্চ ২০১৯

পদত্যাগের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চাই

পদত্যাগের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চরম চাপের মুখে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। তিনি কবে পদত্যাগ করবেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চান এমপিরা। প্রধানমন্ত্রী মের পরিকল্পনা পাসে সমর্থন নিশ্চিত করতে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী টোরি এমপিরা তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। এর আগে দুইবার প্রধানমন্ত্রী মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিকল্প উপায়ের ওপর হাউস অব কমন্সে ভোট সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী মের কনজারভেটিভ পার্টির পেছনের সারির ১৯২২ কমিটির এমপিদের এক আলোচনা সভায় বুধবার বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। নতুন করে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, ব্রেক্সিট ফস্কে যাওয়ার ঝুঁকি থাকায়, অনিচ্ছা সত্ত্বেও ব্রেক্সিটপন্থীরা মের পরিকল্পনার ওপর তৃতীয় দফার ভোটে সমর্থন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে যদি ব্রেক্সিটের সময় বৃদ্ধি করতে চান তবে তাকে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইইউ নেতারা সময় দিতে পারেন। ইইউর এক নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সরকারের কাছ থেকে পার্লামেন্টারি সময়সীমার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার বিষয়ে সমর্থন জানাতে তিন জুনিয়র মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এরপর বুধবার ব্রেক্সিটের বিকল্প উপায়ের ওপর ধারাবাহিক কয়েকটি ভোটে অংশ নেন এমপিরা। ব্রেক্সিটপন্থীরা এতে উদ্বিগ্ন যে, মে যে ধীরগতির ব্রেক্সিটের কথা বলেছেন, সেটাই হতে পারে। আর্টিকেল ৫০ প্রক্রিয়ার খুব বেশি বিলম্ব ইইউর সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্কের দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিকল্প উপায় হিসেবে এমপিরা যা বিবেচনায় আনতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে ‘আর্টিকেল ৫০’ বাতিল, দ্বিতীয় একটি গণভোট, কোন চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট এবং নরওয়ে ধাঁচের চুক্তির সমর্থন। এতে একক মার্কেট সদস্যপদ ও কাস্টমস চুক্তি রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী মের পরিকল্পনা বিষয়ে তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন বরিস জনসন। টেলিগ্রাফের একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি এতে ভোট দেবেন কি না। ব্রেক্সিটপন্থী এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমি এখনও সেটা নিয়ে ভাবিনি।’ তিনি মের চুক্তিকে মারাত্মক চুক্তি অভিহিত করে বলেন, এটি এমন একটি চুক্তি যা আমি দীর্ঘদিন ধরে বিরোধিতা করে আসছি। তারপরও তিনি বলেন, প্রথম পর্বেও সমঝোতার চেয়ে দ্বিতীয় পর্বের সমঝোতার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে সেটা দেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে তিনি আলোকপাত করেন যে, চুক্তির সমর্থনে ভোট না দিলে ব্রেক্সিট না হওয়ার দিকে যাওয়ারও যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। কট্টরপন্থী ব্রেক্সিটার ইউরোপিয়ান রিসার্চ গ্রুপের চেয়ারম্যান জ্যাকব রিস-মগ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের পরিকল্পনা সমর্থন করেছেন। তিনি তাঁর অনুসারীদের প্রতি চুক্তি সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় ব্রেক্সিট নাও হতে পারে। ডেইলি মেইলে লেখা এক নিবন্ধে তিনি বলেন, আমি আমার মত পরিবর্তনের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। এসব করার ফলে আমি কারও কাছে লজ্জাহীন কাজের জন্য অভিযুক্ত হবো, আবার কারও কারও কাছে আমি প্রতারক হয়ে যাব। তিনি বলেন, এই মতে উপনীত হয়েছি, কারণ পার্লামেন্ট সদস্যরা এটা নিশ্চিত করেছে যে সম্ভাব্য অন্যান্য উপায় আরও খারাপ এবং অস্বস্তিকর বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। এক এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে পদত্যাগের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা না করলে এমপিরা সন্তুষ্ট হবেন না। এমন ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী মে বুধবার পদত্যাগের দিন নির্ধারণ করবেন। সূত্র জানায়, তিনি কিছু বলার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি এসে সেখানে শুধু দাঁড়িয়ে থাকবেন না আর তাঁর পরিকল্পনা সমর্থন করতে বলবেন না।
×