ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এইচএসসি পরীক্ষা, কোচিং বন্ধ

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ২৮ মার্চ ২০১৯

এইচএসসি পরীক্ষা, কোচিং বন্ধ

১ এপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালীন ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সমস্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাণিজ্যনির্ভর এই কোচিং সেন্টার তুলে দেয়ার সরকারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এমন আদেশ জারি করা হয়। এবার সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ ছাত্রের বিপরীতে ছাত্রী সংখ্যা ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯ জন, যা সমতাভিত্তিক সমাজ তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। কোচিং সেন্টারগুলো পরীক্ষার কারণে সাময়িক বন্ধ করলে অন্যান্য শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় কিছুটা ক্ষতি হলেও ভবিষ্যতে আরও উন্নত ব্যবস্থার কথা বিবেচনায় আনতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিমত ব্যক্ত করেন, কোচিং-এর বহুমাত্রিক সম্প্রসারণ পরীক্ষার্থীদের জন্য ভাল হয় না বলেই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারপরও আছে কিছু অসাধু ব্যক্তির নিয়ম না মানার অপসংস্কৃতি। যার কারণে বাধ্য হয়ে সব ধরনের কোচিং সেন্টারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অন্যান্য শিক্ষার্থীর অসুবিধার কথা চিন্তা করে ডা. দীপু মনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরিস্থিতিকে আমলে নেয়ার আহ্বান জানান। পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। তবে ৩০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীকে তার আসনে বসার নিয়ম করা হয়েছে। দেরি হলে তার কারণ দর্শানোর পরই কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি পাওয়া যাবে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল কিংবা প্রযুক্তির ডিভাইস ব্যবহার করা নিয়ম বহির্ভূত বলে গণ্য করা হয়। শুধু তাই নয়, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও ছবি তোলা কিংবা ইন্টারনেট উপযোগী কোন মুঠোফোন নিতে পারবেন না। কোষাগার কিংবা থানা থেকে কোন প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে কর্মকর্তা, শিক্ষক কিংবা কর্মচারীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। প্রশ্নপত্র বহনকারী যানবাহনের ওপরও কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বিশেষ করে কালো কাঁচের মাইক্রোবাস প্রশ্নপত্র বহনের জন্য উপযোগী হিসেবে বিবেচিত হবে না। প্রশ্নপত্র বিতরণের সময়সূচীও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া এমসিকিউ কিংবা কোন সেটের প্রশ্নপত্রের কোড এমনকি রচনামূলক প্রশ্নপত্রের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ রাখা হয়েছে। সে নিয়ম মেনেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শিক্ষক এবং শেষ অবধি ছাত্রছাত্রীর হাতে প্রশ্নপত্র এসে যাবে। গত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র ফাঁসকে রোধ করতে গত বছরই অনেক নিয়ম কানুন চালু করে এমন অনিয়মকে সামলাতে হয়েছে। এবারও যেন নতুন কোন বিপত্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে আশঙ্কা সৃষ্টি করতে না পারে, সে কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একা মন্ত্রীর পক্ষে সবকিছু সামলানো সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কর্মতৎপরতা ও দায়বদ্ধতায় পুরো কার্যক্রম আইনানুগ ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে, এমন প্রত্যাশা সচেতন জনগোষ্ঠীর।
×