ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধ ॥ গাইবান্ধার নয়জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ০২:২৭, ২৫ মার্চ ২০১৯

যুদ্ধাপরাধ ॥  গাইবান্ধার নয়জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার নয়জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সোমবার রাজধানীয় ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে ১৮১ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো. হান্নান খান। আসামিদের মধ্যে মো. মোফাজ্জল হক প্রধান ওরফে মোফা (৮২), মো. সেকেন্দার আলী (৬৬), মো. আব্দুল করিম (৬৩), মো. ইসমাইল হোসেন (৭০), মো. আকরাম প্রধান (৬৮) ও মো. হাফিজার রহমান (৬৪) কারাগারে আছেন। পলাতক আছেন মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ওরফে মো. সরফ উদ্দিন খান (৬৪), মো. সামছুল ইসলাম খান (৬৪) এবং মো. আব্দুল মান্নান (৬৪)। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণের চারটি অভিযোগ তদন্ত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরুর পর আজ সোমবার (২৫ মার্চ) এ মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়। তদন্তে ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ১৯৭১ সালেল ১০ মে থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামিরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন কাটাবাড়ীর ইউনিয়নের ১০ নং কাটাবাড়ী ও ৭ নং কাটাবাড়ী গ্রাম এবং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর ও বালুয়া গ্রামে মানবতাবিরোধী অপরাধ করে। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা চারটি অভিযোগ হলো- ১ নং অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ১০ মে আসামিরা কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নং কাটাবাড়ী গ্রামের জিয়া মন্ডল, মনা মন্ডল ও ওমেছ মন্ডলকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, জবাই করে হত্যা করে এবং লুণ্ঠন চালায়। এরপর জিয়া মন্ডলের ছেলে আব্দুর রশীদ ও আব্দুল জোব্বার এবং কাঠালবাড়ী উত্তরপাড়ার মো. আজিজার রহমানকে আটক, অপহরণ ও নির্যাতন করে। ২ নং অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই আসামিরা গাইবান্ধা জেলার বালুয়া গ্রামের মো. ইউনুস আলী আকন্দের বাড়িতে তার স্ত্রীসহ দুজনকে ধর্ষণ করে। ৩ নং অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ৩ আগস্ট রাতে আসামিরা গোবিন্দগঞ্জের শ্রীপতিপুর গ্রামের আব্দুল কাদের সরকার, আব্দুস সোবহান আকন্দ ও এমাদ উদ্দিন আকন্দকে আটক, অপহরণ, হত্যা ও শ্রীপতিপুর গ্রামের একজনকে ধর্ষণ করে। ৪ নং অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর আসামিরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ১ নং কাটাবাড়ী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে দুলাল এবং শাহজালাল মিয়া ওরফে ঝালু মিয়াকে আটক, অপহরণ, হত্যা ও লুণ্ঠন করে।
×