ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জরিমানার টাকা শোধ করা যাবে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২৫ মার্চ ২০১৯

জরিমানার টাকা শোধ  করা যাবে ডেবিট ও  ক্রেডিট কার্ডে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা গুণতে আর আদালতে যেতে হবেনা। সরাসরি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে তা পরিশোধ করা যাবে। আধুনিক পুলিশ ব্যবস্থায় এ ধরনের যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ফলে এখন থেকে প্রসিকিউশনের সময় ঘটনাস্থলেই ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে নিরাপদ নেটওয়ার্কিংয়ে পরিশোধ করা যাবে জরিমানার টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন সুবিধা দিতে গ্রামীণফোনের ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) পদ্ধতির সঙ্গে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ই-প্রসিকিউশন সিস্টেমকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি ও গ্রামীণফোনের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এতে পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়ার উপস্থিতিতে ডিএমপির পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। গ্রামীণফোনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ডিরেক্টর, হেড অব কর্পোরেট বিজনেস মোঃ নাছার ইউসুফ। এসময় মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রতিনিয়ত জনগণের জন্য কাজ করছে পুলিশ। দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করে ভাল নাগরিক সেবা দেয়ার উদাহরণ ডিএমপিতে তৈরি হয়েছে। ট্রাফিক পজ মেশিনের মাধ্যমে প্রসিকিউশন যেমন সহজ ও স্বচ্ছ হচ্ছে, ঠিক সেই সঙ্গে দুর্নীতিও কমেছে। সরকারের প্রতিটি বিভাগই ডিজিটালাইজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে ডিএমপি অনেক এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন ‘ই-ট্রাফিক’ প্রসিকিউশনের পর জরিমানা পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিস বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কাগজ পেতে জনসাধারণের বিড়ম্বনা পেতে হত। ভাল সেবা দিয়ে বিড়ম্বনা কমানোই আমাদের লক্ষ্য। এই বিড়ম্বনা রোধ করতে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পজ মেশিনগুলো ভিপিএনের নিরাপদ নেটওয়ার্কের আওতায় আনায় ভবিষ্যতে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করা যাবে। এখন ট্রাফিক প্রসিকিউশনে জরিমানা অন দ্য স্পট ইউক্যাশ সার্ভিসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় সবার বিকাশ এ্যাকাউন্ট রয়েছে। ট্রাফিক জরিমানা অন দ্য স্পট বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধের জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষকে এর আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করলে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের জরিমানা প্রদান সহজ হবে। প্রয়োজন হবে না কোন কাগজ আটকে রাখার। একই অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ডিডি নাছার ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, এই ভিপিএন পদ্ধতির ফলে জনভোগান্তি অনেক হ্রাস পাবে। ২০১৬ সাল থেকে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে গ্রামীণফোন কাজ করছে। ইন্টারনেটের পরিবর্তে ইন্টারনেট সিস্টেমই এই ভিপিএন। সিকিউর কানেকশনের জন্য ভিপিএন জরুরী। ট্রাফিক প্রসিকিউশনে অনেকে অন দ্য স্পট জরিমানা পরিশোধ করতে ইচ্ছুক থাকেন।
×