স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ আড়াইহাজার উপজেলার কলাগাছিয়া পূর্ব ঋষিপাড়া এলাকায় রূপা রানী দাস (১৯) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন নিহতের স্বামী সাজিব দাসকে (২৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ৫ বছর আগে কুমিল্লা জেলার জগতপুর এলাকার গবিন্দ দাসের মেয়ে রূপা রানী দাসের সঙ্গে উপজেলার কলাগাছিয়া পূর্ব ঋষিপাড়া এলাকায় রং কমল দাসের ছেলে সাজিব দাসের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রাখি নামে তিন বছরের কন্যা রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে তাদের সুখের সংসার চলে আসছিল। কিন্তু এক বছর ধরে সাজিব দাসের সঙ্গে নরসিংদীর এক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের ঘটনা জানাজানি হলে স্ত্রী রূপা রানীর সঙ্গে স্বামী সাজিবের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হলে স্ত্রী রূপাকে সাজিব বেদম মারপিট করে। রবিবার ভোরে রূপা রানীর শিশু কন্যার চিৎকারে বাড়ি ও পাশের বাড়ির লোকজন এসে বিছানায় রূপার মৃত দেহ দেখতে পায়। ওই সময় স্বামী সাজিব পালিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ রবিবার সকালে স্বামী সাজিবকে আটক করে।
নোয়াখালীতে গৃহবধূ
নিজস্ব সংবাদদাতা নোয়াখালী থেকে জানান, চাটখিল উপজেলা থেকে আকলিমা আক্তার কাকুলি (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।
রবিবার সকাল ও দুপুরে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সে চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সাতরাপাড়া গ্রামের মামুন হোসেনের স্ত্রী ও সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের আব্দুল কাদেরের মেয়ে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: