ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গোলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ০৩:৩২, ২৪ মার্চ ২০১৯

গোলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ দেশবরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী হায়দার হোসেনের গানের যেন একটি লাইনের অংশ ‘কী দেখার, কী দেখছি’। ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত গোলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন এ গানের লাইনের প্রশ্নবিদ্ধ অংশ হয়ে আছে। স্কুলটি শুধু ভবন সর্বস্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে কোটি টাকারও বেশি ব্যয় একটি আধুনিক ভবন নির্মিত হলেও শিক্ষার্থী সঙ্কট কাটছে না কোন কিছুতেই। দুর থেকে দেখতে ভালই লাগে। ভেতরে গিয়ে হতাশারও হতাশাজনক চিত্র। কাগজপত্রে চার জন রয়েছে। স্থানীয়সুত্রে জানা গেল, এরা পাশের মাদ্রাসায় চলে গেছে। দ্বিতীয় শিফটের ক্লাশ তাই দ্বিতীয় ও প্রথম শ্রেণির চিত্র দেখা গেলনা। শিক্ষকদের খাতাপত্রের তথ্যে প্রথম শ্রেণিতে ১৫ ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে আটজন শিশু রয়েছে। তবে তিন শিক্ষকের তিনজনই উপস্থিত রয়েছেন। প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান এ মাসেই যোগদান করেছেন বলে জানা গেল। তিনি এই বেহালচিত্রের কারণে যোগদান করেই স্কুল ক্লাস্টার এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। খাতাপত্রে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চমে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৯ জন থাকার কথা। কিন্তু নেই অর্ধেক। প্রায় ৯৮ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ৯৭ বছরের স্কুলটি এখন আছে শুধু ভবন সর্বস্ব। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল আহম্মেদ জানান, বিষয়টি জেনে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। সাধারণ মানুষ জানান, সরকার শিক্ষকদের জাতীয়করনের পাশাপাশি স্বস্তিদায়ক ভেতন-ভাতার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু জনগণ এর সুফল পাচ্ছে না।
×