ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইরাকে ফেরি ডুবে মৃত বেড়ে ৯৪

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ২৩ মার্চ ২০১৯

 ইরাকে ফেরি ডুবে মৃত বেড়ে ৯৪

ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুলে দজলা নদীতে ফেরি ডুবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ জনে পৌঁছেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৯ শিশু, ৬১ নারী। কুর্দী পঞ্জিকা অনুসারে নওরোজ (নববর্ষ) উদযাপনের মধ্যে বৃহস্পতিবার মসুল থেকে যাত্রী নিয়ে মোটামুটি চার কিলোমিটার উজানে পর্যটন দ্বীপ উম রাবায়েনে রওনা হয়েছিল ওই ফেরি। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পর নদী থেকে ৫৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করার কথা জানিয়ে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা বলেছেন, ফেরির আরোহীদের মধ্যে অধিকাংশই সাঁতার জানতেন না। মসুলের সিভিল ডিফেন্স অথরিটির প্রধান হুসাম খলিল বলেছেন, ওই ফেরিতে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী তোলা হয়েছিল। এটা সাধারণত ৫০ যাত্রী নিতে পারে। কিন্তু ঘটনার সময় ফেরিতে অন্তত দু’শ’ মানুষ ছিল। ওই ফেরির পাঁচ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির। বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, অনেক বেশি লোক তোলায় যাত্রা শুরুর পর পরই ফেরিতে পানি উঠতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সেটি কাত হয়ে ডুবে যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মসুলের সরকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, তিনি নদীর কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ তিনি ফেরিটি ডান দিকে কাত হয়ে যেতে দেখেন এবং এর পর পরই সেটি ডুবতে শুরু করে। ফেরির যাত্রীরা তখন চিৎকার করছিল। নারী ও শিশুরা সাহায্যের জন্য হাত নাড়ছিল। কিন্তু তাদের উদ্ধার করার জন্য কেউ ছিল না। আমি সাঁতার জানি না। আমিও কিছু করতে পারিনি। সেজন্য নিজেকে দোষী মনে হচ্ছে। চোখের সামনে লোকগুলো ডুবছিল। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসা মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতেও দেখা যায়, উল্টো হয়ে ফেরিটি ডুবছে এবং খরস্রোতা দজলা নদীতে মানুষ ভেসে যাচ্ছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এক টুইটে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
×