ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফোর্বসের তালিকায় সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়র কাইলি জেনার

প্রকাশিত: ১২:৩০, ১৯ মার্চ ২০১৯

ফোর্বসের তালিকায় সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়র কাইলি জেনার

কাইলি ক্রিস্টেন জেনার মার্কিন রিয়েলিটি তারকা, অভিনেত্রী, উদ্যোক্তা। ৯ বছর বয়স থেকেই টেলিভিশন চ্যানেলের রিয়েলিটি টেলিভিশন সিরিজ কিপিং আপ উইথ দ্য কার্দাশিয়ান্সের একজন অভিনয় শিল্পী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। নিজস্ব ব্র্যান্ডের প্রসাধনী সামগ্রী এবং সামাজিক গণমাধ্যমে তার উপস্থিতিও তাকে রেখেছে আলোচনায়। ২০১২ সালে তিনি পোশাকের ব্র্যান্ড পেকসানের পাশাপাশি তার বোন কেনদ্রালকে সঙ্গে নিয়ে একটি ভিন্ন মাত্রার বস্ত্রের ব্র্যান্ড তৈরি করেন, যেটির নাম দেয়া হয় ‘কেনদ্রাল এবং কাইলি’। ২০১৫ সালে কাইলি তার নিজস্ব ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্র্যান্ড ‘কাইলি কসমেটিক্স’ শুরু করেন। ওই এ্যাপটি আইটিউন্স এ্যাপ স্টোরে প্রথম স্থানে উঠে আসে। ছোটবেলা থেকেই কাইলির মডেলিং, ফ্যাশন, সাজগোজ এসবের দিকে বেশ আগ্রহ ছিল। আকর্ষণীয় পোশাক-আশাক ও মডেলিং বিষয়ে তাকে তার বোনরা অনেক সাহায্য করতেন। আর কিম কার্দাশিয়ানতো ছিলেন কাইলির কাছে ছায়ার মতো। স্কুলে পড়াকালীন নানা রকমের অভিনয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন, এ ছাড়া নামী-দামী ম্যাগাজিন ও ফ্যাশন অনুষ্ঠানেও তার বেশ উপস্থিতি ছিল। তার সমসাময়িক কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে কাইলির যথেষ্ট প্রভাবও ছিল। জেনারের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস এ্যাঞ্জেলেস শহরে। তিনি ১৯৭৬ সামার অলিম্পিক ডিকাথেলান বিজয়ী চেটলিন জেনার এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ক্রিস জেনার এর কনিষ্ঠ কন্যা। ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে, টাইম ম্যাগাজিন সামাজিক গণমাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে তাদের যথেষ্ট প্রভাব থাকার কারণে ‘২০১৪ সালের সবচেয়ে প্রভাবশালী কিশোর-কিশোরী’ তালিকায় জেনার এবং তার বোনদের স্থান দেয়। ২০১৭ সালের হিসেবে, ইনস্টাগ্রামে ১০৪ মিলিয়নেরও বেশি অনুসরণকারী নিয়ে, তিনি সেরা ১০ জন অনুসরণীয় ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। ২০১৭ সালে, জেনারের নাম ফোর্বস সেলিব্রেটি ১০০ এর তালিকায় স্থান পায়, যেখানে তিনি সবচেয়ে কনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে এই তালিকায় স্থান করে নেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর এই বিপুল অনুসারীদেরই কাজে লাগান কাইলি। ২০১৫ সালে ‘কাইলি কসমেটিকস’ নামে প্রসাধনীর ব্যবসা শুরু করেন এ তারকা। কাইলি কসমেটিকসের প্রথম পণ্যটির নাম ‘কাইলি লিপ কিট’। এটি মূলত লিপস্টিক ও লিপ লাইনারের সমন্বয়ে তৈরি। পণ্যটি যখন প্রথম বিক্রির জন্য আনা হয়, তখন মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মাথায় সব ক’টি লিপ কিট ক্রেতারা কিনে নেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি ফাউন্ডেশন, ব্লাশন, কনসিলার, ব্রোঞ্জার ও আই শ্যাডোসহ বেশ কিছু মেকআপ প্রসাধনী যোগ করেন তার ব্যবসায়। আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে তার প্রধান ক্রেতা নারী ও তরুণেরা। মেকআপ ছাড়াও কাইলির প্রসাধনী লাইনে আরও পাওয়া যায় বিভিন্ন নকশার ফ্যাশন পণ্যও। অনলাইনে নিজের প্রসাধনীর প্রচারণা তিনি নিজেই করতেন। জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে তার। দ্রুত বেড়ে যায় বিক্রি। ফলে বছর তিনেকের মাথায় কাইলি হয়ে ওঠেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীদের একজন। কাইলি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমার বয়স যখন মাত্র ছয়। তখন থেকেই আমি চোখে বেগুনি রঙের আই শ্যাডো দিতাম। মেকআপ করলে আমার নিজের মধ্যেও একটা অন্যরকম আত্মবিশ্বাস কাজ করে। কখনও ইউটিউব দেখে কখনো বা যাচাই-বাছাই করে স্পেশালিস্টের কাছ থেকে মেকআপ করা শিখতাম।’ এই বছর ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা সর্বশেষ তালিকায় বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হিসেবে উঠে এসেছে কাইলি জেনারের নাম। উত্তরাধিকার সূত্রে নয়, ২১ বছর বয়সী এই মার্কিন মডেল, অভিনেত্রী, রিয়েলিটি শো তারকা ওই সম্পদ গড়েছেন নিজের যোগ্যতায়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্দাশিয়ান পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য কাইলি বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন তার কসমেটিকস ব্যবসার মাধ্যমে। তিন বছর আগে যাত্রা শুরু করা কাইলি কসমেটিকস গত বছর আয় করেছে ৩৬ কোটি ডলার। সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়র হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পথে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকেও ছাড়িয়ে গেছেন কাইলি জেনার। জাকারবার্গ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সে।
×