পদত্যাগের জন্য চাপ বাড়ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের ওপর। অনুমান করা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী মে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন। এ লক্ষ্যে টোরির নেতৃত্ব প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগামী কিছুদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন এ ধারণা থেকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা পর্দার অন্তরালে এবং গণমাধ্যমে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। খবর ইনডিপেনডেন্টের।
প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে যদি তার পদত্যাগের দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন তবে কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা সমর্থন করবেন। আর প্রধানমন্ত্রী মের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাদের ভোট প্রয়োজন। এই ইঙ্গিত থেকেই টোরি নেতাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী পার্লামেন্টে তুমুল বিতর্কের পর প্রীতি প্যাটেল, লিজ ট্রাস ও ডোমিনিক রাব জনসমক্ষে কথা বলেছেন। যদিও মের প্রশাসন নিষ্প্রভ হয়ে পড়ার বিষয়ে রাজনৈতিক বাস্তবতা স্বীকার করেছেন ডাউনিং স্ট্রীট কর্মকর্তারা। এর আগে হাউস অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা দুবার প্রত্যাখ্যাত হয়।
নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের অন্যতম, সাবেক ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল সোমবার মধ্য-ডানপন্থী থিঙ্কট্যাঙ্ক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন।
ইনডিপেনডেন্টকে এক এমপি বলেন, সমস্ত কর্মকান্ড এবং তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ হলেই প্রীতি সে জায়গায় বসতে চান। তিনি বলেন, তিনি (প্রীতি) জানেন যে, তিনি দলের ডান অংশ থেকে এসেছেন। আর এই অংশটিই আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচন করতে যাচ্ছে। সুতরাং, তিনি (প্রীতি) সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে তিনি সেখানে আছেন। তিনি আরও বলেন, সবাই বোঝে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে টেরেসা মে ঘোষণা দেবেন, কখন তিনি পদত্যাগ করবেন। তাই সবাই তাদের তৎপরতা জোরদার করেছেন। সিনিয়র এমপির বন্ধুরা জানান, অনুষ্ঠানটি নেতৃত্ব ঘোষণার অংশ নয়। অনুষ্ঠানটির উদ্যোগ বেশ কিছুদিন আগেই নেয়া হয়েছে। আর এতে শুধু আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোই প্রাধান্য পাবে। উল্লেখ্য, এমপির এসব বন্ধু ‘ভোট লিভ’ প্রচারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। তবে যাই হোক এই অনুষ্ঠানে প্রীতি অন্ততপক্ষে ব্রেক্সিট বিষয়ে কথা বলা, তার মূল্যবোধ, দেশের ভবিষ্যত এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাহার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবেন। তবে অন্যরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রীতি বরিস জনসনের রানিংমেট হতে পারেন। কারণ, কনজারভেটিভ সদস্যদের কাছে তিনিই সবচেয়ে জনপ্রিয়।
অন্যতম নেতৃত্ব প্রত্যাশী অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রধান লিজ ট্রাস দ্য টাইমসকে দীর্ঘ এক সাক্ষাতকার দেন। সেখানে তিনি সোশ্যাল মোবিলিটি বিষয়ে তার নীতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। তাকে যদি নেতৃত্বের জন্য বাছাই করা হয়- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি মনে করি কনজারভেটিভ পার্টি ব্যক্তিত্ব নিয়ে অনেক সময় অপচয় করেছে, ধারণা নিয়ে নয়। তিনি বলেন, রাজনীতিতে কোন কিছুই এড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কিন্তু আমি এ বিষয়টি নিয়ে মোটেই চিন্তা করছি না। কোন পুরুষ প্রার্থীর রানিংমেট হবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি দ্বিতীয় কেউ হতে চাই না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: