ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপদে বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১৬ মার্চ ২০১৯

 নিরাপদে বাংলাদেশ দল

জিএম মোস্তফা ॥ কি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে সন্ত্রাসী হামলা হয়। পাশের একটি মসজিদেও হামলা হয়। আরও কয়েকটি স্থানে হয় হামলা। এই হামলার শিকার হতে পারত বাংলাদেশ দলও। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন। আর তাই মসজিদে ঢোকার আগেই এক নারীর মাধ্যমে কি ঘটেছে সেই সঙ্কেত পান ক্রিকেটাররা। সঙ্গে সঙ্গে স্থান ত্যাগ করেন মুশফিক, তামিম, মিরাজরা। প্রাণে বেঁচে যান। এখন নিরাপদেও আছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। শুরুতে মসজিদের কাছ থেকে দ্রুত ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভাল স্টেডিয়ামে যান। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান নেয়ার পর নিরাপদে টিম হোটেলে পৌঁছান ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা নিরাপদে থাকায় ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে স্বস্তি মিলেছে। পুরো ক্রিকেট বিশ্বজুড়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা নিরাপদে থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করছে। সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বস্তি জানিয়েছে। কিন্তু তামিম ইকবালের সঙ্গে পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি কথা বলেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটা বার্তা দিয়েছেন আফ্রিদি। বিশ্বব্যাপী ধর্ম নিয়ে ঘৃণার রাজনীতি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তবে অন্যদের মতো টুইট করেই নিজের দায়িত্ব সম্পন্ন করেননি। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছেন তারা নিরাপদেই আছেন। টুইটারে আফ্রিদি জানান, ‘ক্রাইস্টচার্চে ভয়ঙ্কর শোকাবহ ঘটনা ঘটেছে। আমি সবসময় নিউজিল্যান্ডকে সবচেয়ে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে জানি। ওখানকার মানুষ খুবই বন্ধুত্বসুলভ। তামিমের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দল ও কোচিং স্টাফরা সবাই নিরাপদে আছে জেনে স্বস্তি পাচ্ছি। এসব থামাতে বিশ্বকে একত্র হতে হবে। এভাবে ঘৃণা করা থামান। সন্ত্রাসবাদের কোন ধর্ম নেই। শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য প্রার্থনা। আল্লাহ নিহতদের শান্তি দান করুন।’ ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি টুইট বার্তায় জানান, ‘আতঙ্কজনক এবং দুঃখজনক। ক্রাইস্টচার্চের এই কাপুরুষের মতো হামলায় আমার মন প্রভাবিত। তবুও ভাবছি বাংলাদেশ দলটি ভাল আছে, তারা নিরাপদে আছে।’ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার জিমি নিশামের টুইট, ‘অনেকদিন থেকেই নানা ঘটনা দূর থেকে দেখে ভেবেছি, বিশ্বের এই কোণে আমরা একটু আলাদা, একটু নিরাপদ। আজকের (শুক্রবারের) দিনটা ভয়াবহ। ভীতিকর এবং দুঃখজনক।’ ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের টুইট, ‘মানবতার জন্য পৃথিবীর কোন জায়গাই এখন আর নিরাপদ না। কারণ মানুষই এই গ্রহের সবচেয়ে বড় শত্রু।’ ভারতের ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে টুইট করেন, ‘নিউজিল্যান্ডে যখন আপনাকে সরাসরি গুলি থেকে বাঁচতে হয় তখন বুঝে নেবেন পৃথিবীটা মোটেও ভাল জায়গা নয়। বাংলাদেশ দল নিরাপদ আছে জেনে স্বস্তি লাগছে।’ শ্রীলঙ্কার তারকা অলরাউন্ডার এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের টুইট, ‘নিউজিল্যান্ডে হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে স্তব্ধ হয়ে পড়েছি। হতাহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিরাপদে আছে জেনে স্বস্তি লাগছে।’ পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ লিখেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার ঘটনায় মর্মাহত। শহীদরা ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া করছি। জায়গাটি একটি মসজিদ, মানবতা কোথায় গেল...। বাংলাদেশ দল নিরাপদ আছে, স্রষ্টাকে ধন্যবাদ।’ পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ওসমান খাজা টুইটারে লিখেছেন, ‘ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। হতাহত ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া ও ভালবাসা।’ পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার এই ঘটনায় দুঃখ ও টাইগার ক্রিকেটারদের নিরাপদ থাকার খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। টুইটারে শোয়েব লিখেছেন, ‘ক্রাইস্টচার্চে মসজিদের মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার ছবি দেখলাম। আমি স্তম্ভিত। আমরা কি এখন আমাদের প্রার্থনার জায়গার ভেতরেও নিরাপদ নই? এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমি আনন্দিত যে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নিরাপদ আছে।’
×