ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর মিরপুরে ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১০:১৯, ১৪ মার্চ ২০১৯

 রাজধানীর মিরপুরে ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মিরপুরে বাসার ছাদ থেকে পড়ে কাজী অনিক নামে মনিপুর স্কুলের নবম শ্রেণীর বাণিজ্য বিভাগের এক ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ এ খবর দিয়েছে। অনিক দুই বছর মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের পশ্চিম মনিপুরে ৮৩৭ নম্বর বাসায় পাশের রাস্তা থেকে অনিককে (১৪) গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অনিক গাড়ি চাপায় আহত হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত অনিকের মা সামসুন্নাহার ছেলেকে নিয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সাবেক পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অনিককে মৃত ঘোষণা করেন। অনিকের পিতা ইতালি প্রবাসী মজিবুর রহমান। অনিকরা তিন ভাই। বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছে। দ্বিতীয় ভাই বেসরকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। পরিবারটি মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের পশ্চিম মনিপুরে ৮৩৭ নম্বর ছয় তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট কিনে বসবাস করে। মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সারোয়ার জাহান পরিবারের সদস্য ও আশপাশের বাসিন্দার বরাত দিয়ে জনকণ্ঠকে জানান, অত্যধিক পড়াশোনার চাপে মেধাবী ছাত্র অনিক দুই বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। বুধবার সকালে সবার অগোচরে অনিক ছয় তলা বাড়ির ছাদে যায়। নির্মাণাধীন বাড়িটির ছাদে কোন রেলিং নেই। রেলিং না থাকার কারণে এবং অসতর্কভাবে চলাফেরার কারণে হয়ত অনিক বাসার ছাদ থেকে পড়ে গেছে। মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহিদুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, ছাদ থেকে পড়ে অনিকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। স্থানীয়রাও এমন তথ্যই দিয়েছেন। বাসাটি রাস্তা লাগোয়া। ছাদ থেকে রাস্তায় পড়ার কারণে গাড়ি চাপায় অনিক গুরুতর আহত হয় বলে ধারণা করেন। সেই ধারণা থেকেই গাড়ি চাপায় অনিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাস্তায় তেমন কোন যানবাহনই চলে না। অনিকের মানসিক চিকিৎসার ফাইলপত্র পাওয়া গেছে। তাতে অনিক দুই বছর ধরে মানসিক রোগী বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে অনিক স্বেচ্ছায় ঝাঁপ দিয়েছিল কিনা বা কেউ তাকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদিও এমন কোন তথ্য-প্রমাণ মেলেনি।
×