ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত ৩৬ আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ১১ মার্চ ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত ৩৬  আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও  পুরস্কার পেয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এ্যাওয়ার্ড’ অর্জনের মাধ্যমে তার আন্তর্জাতিক সম্মাননা’র সংখ্যা বেড়ে ৩৬টিতে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ ৭ মার্চ বার্লিনে ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান উইমেন প্রদত্ত এই এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। খবর বাসস’র। নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে তার গতিশীল নেতৃত্বের জন্য এই এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। এর আগে শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র সমুন্নত করা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন ডিগ্রী ও সম্মাননা দেয়া হয়। সামাজিক কার্যক্রম, শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্যও তাকে সম্মাননা ও এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দানের দায়িত্বশীল নীতি ও মানবিক সাহায্য প্রদান এবং রোহিঙ্গা ইস্যুত দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী দু’টি আন্তর্জাতিক এ্যাওয়ার্ড আইপিএস ইন্টান্যাশনাল এ্যাচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৮ স্পেশাল ডিসটিংশন এ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশিপ অর্জন করেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) এবং নিউইয়র্ক, জুরিখ ও হংকং ভিত্তিক অলাভজনক তিনটি ফাউন্ডেশনের নেটওয়ার্ক গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন গতবছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দু’টি এ্যাওয়ার্ড প্রদান করে শেখ হাসিনাকে সম্মাননা জানায়। বাংলাদেশে নারী শিক্ষা এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে অসামান্য নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী গতবছরের ২৭ এপ্রিল গ্লোবাল উইমেন’স লিডারশিপ এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব উইমেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সংস্থার এক ভোজ উৎসবে শেখ হাসিনাকে মর্যাদাপূর্ণ এ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানায়। প্রধানমন্ত্রী ‘গ্লোবাল উইমেন সামিট’-এর প্রেসিডেন্ট আইরিন নাতিভিদাদের কাছ থেকে এই এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় দেড় হাজার নেতৃস্থানীয় নারী অংশগ্রহণ করেন। চতুর্থবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো থেকে ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কার লাভের মাধ্যমে জাতিসংঘের সম্মাননা অর্জনের পর প্রথম আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে প্রায় দুই দশকের বেশি পুরানো সংঘাত অবসানের একবছর পরে তিনি এই সম্মাননা অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এ্যাওয়ার্ড হস্তান্তরকালে ইউনেস্কো মহাপরিচালক ফেদেরিকো মেয়র প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, জাতি গঠনে অবিচল ভূমিকা পালনকারী আপনার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আপনি দেশকে শান্তি ও ক্ষমার পথে নিয়ে গেছেন। আপনার দেশের সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় আপনার নিষ্ঠা বৈশ্বিক শান্তির সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতি স্থাপন করেছে। বিশ্বশান্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, মেয়েদের শিক্ষা এবং আইসিটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা তার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচিত করেছেন এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে উচ্চাসনে বসিয়েছেন।
×