ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৮:৫০, ১১ মার্চ ২০১৯

বাংলার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

॥ দুই ॥ (প্রথম কিস্তির পর) আইনের প্রয়োগ চাই : বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড় সঙ্কটটি হচ্ছে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পৃষ্ঠপোষকতার কমতি ও এই বিষয়ক আইন ও নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগ না করা। এটি বিস্ময়কর মনে হতে পারে যে, বাংলা ভাষার নামে জন্ম নেয়া দেশে সেই ভাষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা যথাযথ নয় কেন। প্রয়োগকারীদের প্রথম বড় দুর্বলতা হলো, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন করতে পারার মানসিক শক্তি না থাকা। সরকারী অফিসে বাংলা ব্যবহার হয়- কিন্তু অফিসের ফাইলের বাইরে সর্বত্র ব্যবহৃত হয় না। উচ্চ আদালতে ইংরেজী ব্যবহার সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। দুয়েকটি মামলার বাইরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উচ্চ আদালতে বাংলা প্রবেশ করতে পারে না। সংবিধানের রক্ষক উচ্চ আদালত সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদ মানতে পারে না। ৮৭ সালের বাংলা ভাষা আইন মানতে পারে না। স্বাধীনতার প্রায় অর্ধ শতক পরেও সেই শেকলটা আমরা ভাঙ্গতে পারিনি। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় উচ্চ আদালতে বাংলা প্রচলন করতে না পারার জন্য একটি মাত্র বিধি (দেওয়ানি কার্যবিধির ১৩৭ ধারা) সংশোধন করার কথা বলা হয়েছে। এটি কি আমরা ভাবতে পারি যে- আমরা বাংলা ভাষার প্রয়োগের জন্য একটি বিধি সংশোধন করতে পারি না? অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগুলো যে বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য সিরিয়াস নয় তার অসংখ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত মোবাইল ফোন কেনার ফরমটা ইংরেজীতেই ছিল। এখনও কৃষকের ব্যবহার্য অনেক ফরম শুধু ইংরেজীতে। এখনও প্রতিদিন কম্পিউটার প্রচলনের নামে ডিজিটালকরণের দোহাই দিয়ে বাংলা ভাষা ও হরফকে বিদায় করা হচ্ছে। এক সময়ে দেশের ব্যাংকগুলো বাংলায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করত। এখন ডিজিটাল বা অনলাইনের নামে সেখান থেকে বাংলা ভাষা বিদায় নিয়েছে। নতুন যে চেকবই এখন ব্যাংকগুলো চালু করেছে তাতে বাংলা হরফ নেই। ডিজিটাল এমএফএস হোক আর অনলাইনে ভর্তি হোক, বাংলা লেখা হলেও তা রোমান হরফে লেখা হয়। অতি সাধারণ কৃষককে যখন আমরা রোমান হরফ চেনানোর চেষ্টা করছি তখন পুরো বিষয়টাকেই দুঃখজনক বলতে হবে। আমি লক্ষ্য করেছি যে, দিনে দিনে সরকারী কাজ যত অনলাইনে যাচ্ছে ততোই সেটি বাংলার বদলে ইংরেজীতে হচ্ছে। বাংলা নিয়ে সবচেয়ে বড় অবহেলাটি হলো, বাংলা ভাষা শেখার ব্যাপারে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৫১টির মাঝে মাত্র চারটিতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয় পড়ানো হয়। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাষ্ট্রভাষা শেখাতে কেন বাধ্য করা হয়নি এটি আমাদের জন্য একটি লজ্জাজনক অধ্যায়। ভাষার জন্য রক্ত দেয়া একটি জাতির জন্য এমন আচরণ একটি কলঙ্ক। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বেনিয়াবৃত্তির জন্য তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পড়ায় না তাদেরও উচিত এই কলঙ্কের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে অবিলম্বে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ খোলা। এদেশে বাংলা ভাষা শিখতে হলে সরকারের অনুমতি লাগে। দুঃখজনক হলো, বাংলাদেশে যারা বাংলা শিখতে চায় তাদেরকে এসবি থেকে অনুমতি নিতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলা শেখার জন্য ভর্তি হতে হলে বিদেশীদেরকে আগে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। সরকারের বাংলা একাডেমি বা অন্য কোন সংস্থা বিদেশীদের বাংলা শেখানোর কোন ব্যবস্থা করে না। ব্রিটিশ কাউন্সিল যেমন করে ইংরেজী শেখায় আমাদের মিশনগুলো সেই ধারণায় বাংলা শেখায় না। এমন কোন ভাবনা চিন্তা আছে বলেও মনে হয় না। তবে বাংলার প্রতি যত অবহেলাই হোক না কেন এই বাংলাকে কেউ রুখে দাঁড়াতে পারবে না। বাংলার সোনালী দিন : এমন একটি অবস্থাতে আমাদের বাংলা ভাষা নিয়ে কেবল আশাবাদ নয় দুরন্ত স্বপ্নও আছে। অনেকেই এটি জানেন না যে, বাংলা বিশ্বের সেরা ও মধুরতম ভাষা। ইউনেস্কো বাংলাকে বিশ্বের মধুরতম ভাষার সম্মান দিয়েছে। এমনিতেই আমাদের ভাষা দিবস বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। মধুরতম অভিধাটি আমাদের সেই সম্মানকে আরও মহীয়ান করেছে। উইকিপিডিয়ার বিবরণে বিশ্বের ভাষা ব্যবহারের হিসাবটি এরকম। ২০১০ সালের তথ্য অনুসারে ম্যান্ডারিনে কথা বলে ৯৫.৫০ কোটি, (সকল চীনা ভাষা মিলিয়ে ১১২ কোটি) স্প্যানিস ৪৭ কোটি, ইংরেজী ৩৬ কোটি, আরবী ২৯.৫০ কোটি, হিন্দী ২৬ কোটি, পর্তুগীজ ২১.৫ কোটি এবং বাংলায় ২০.৫ কোটি লোক কথা বলে। কিন্তু এই হিসাবটি আমার কাছে একেবারেই গ্রহণযোগ্য মনে হয় না। আপনাদেরও তাই মনে হওয়া উচিত। ২০১০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ কোটি, পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরার বাংলা ভাষাভাষী আরও ১৪ কোটি, ভারতের অন্যান্য রাজ্যে আরও প্রায় ১ কোটি, এশিয়া-ইউরোপ-আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার অনেক দেশ মিলিয়ে আরও প্রায় ২ কোটি; সব মিলিয়ে প্রায় ৩১ কোটি মানুষের মাতৃভাষার নাম বাংলা। সেই হিসাবে বাংলা বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা। ১৯ সালে চিত্রটা এমন হতে পারে যেÑ ইংরেজীর চাইতে বাংলার মাতৃভাষাভাষীর সংখ্যা বেড়েছে। কারণ, বাংলা ভাষাভাষীর জন্ম হার তুলনামূলকভাবে ইংরেজী ভাষাভাষীদের চাইতে বেশি। আমরা যে চীনা ভাষাকে ছাড়াতে পারব না সেটি নিঃসন্দেহে বলা যায়। স্প্যানিসকে অতিক্রম করাটাও সময়সাপেক্ষ। তবে ইংরেজী আমাদের চাইতে খুব বেশি এগিয়ে বলে মনে হয় না। তবে ইংরেজীর একটি বাড়তি সুবিধা হলো যে এই ভাষা মাতৃভাষা না হলেও এটি বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত ভাষা। ফলে মাতৃভাষায় যাই থাকুক বিশ্বজুড়ে ইংরেজীর ব্যবহার বেশি। কিন্তু জনসংখ্যা বাড়ার কারণের সঙ্গে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার জন্য এই শতকের শেষে বাংলা ভাষা যে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে পৌঁছাবে সেই বিষয়ে সন্দেহ থাকার কোন অবকাশ নেই। হিসাবটি খুবই সহজ। ইংরেজী মাতৃভাষা এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা তেমন বাড়বে না যেমনটা বাংলা মাতৃভাষা যাদের তাদের সংখ্যা বাড়বে। প্রযুক্তির কারণে ইংরেজী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ততটা বাড়বে না। ভাষার আলোচনার সঙ্গে বঙ্গলিপি বা বাংলা লিপির আলোচনাটিও করা দরকার। অন্যদিকে লিপি ব্যবহারকারীর দিক থেকে রোমান হরফের অবস্থান শীর্ষেই থাকবে। কারণ ইংরেজী ছাড়াও আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা বা এশিয়ার বহু ভাষা প্রযুক্তিগত কারণে এক সময়ে রোমান হরফ ব্যবহার করেছিল নিজেদের অক্ষর বিসর্জন দিয়ে। যদিও সেজন্য তাদের ভাষা-উচ্চারণ বিকৃত হয়েছে তবুও সেই পথ থেকে তাদের সরে আসার সম্ভাবনা কম। আমাদের জন্য সুখবর এই যে বর্ণের দিক থেকে বাংলার অবস্থান আরও শক্ত। কারণ, বাংলা ভাষা ছাড়াও অহমিয়া, মণিপুরী, নাগা, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ইত্যাদি ভাষাও বাংলা লিপি ব্যবহার করে। প্রাচীন ভারতীয় ভাষা পরিবারের প্রাচ্য ধারার বাংলা ভাষা আবার ভোজপুরিয়া, মাগ্ধী, মৈথিলী, উড়িয়া এবং অহমিয়ার সহোদরাও। সেইসব ভাষাতেও বঙ্গলিপি বা এর কাছাকাছি লিপি ব্যবহৃত হয়। প্রকৃতার্থে বাংলা দক্ষিণ এশিয়া বা ভারতীয় উপ-মহাদেশের সর্বাধিক মানুষের মাতৃভাষা ও লিপি। এই ভাষার কেবল যে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীটাই রয়েছে তাও নয়, এর রয়েছে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্য। লিপির দিক থেকে চীনা ও রোমান হরফের পরই বঙ্গলিপির অবস্থান বলে আমি মনে করি। ভারতে হিন্দীকে চাপিয়ে দেবার প্রবণতা থাকার পরও সমৃদ্ধ সাহিত্যকে আমরা দিনে দিনে যেভাবে আরও উজ্জ্বল করছি যাতে বাংলার অবস্থান মজবুত হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশে বাংলাকে প্রযুক্তির সক্ষমতা দিতে গবেষণা করছি। আমরা এই কাজগুলো যদি সম্পর্ণ করতে পারি তবে বাংলাকে দাবিয়ে রাখার ক্ষমতা কারও নেই। এরই মাঝে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত অফিসিয়াল ভাষার তালিকায় নাম রয়েছে বাংলার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এই প্রস্তাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ত্রিপুরাও বাংলাকে জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষার মর্যাদা দাবি করেছে। এই দাবি পূরণটি এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এরই মাঝে জাতিসংঘ এই বিষয়ে একটি শুনানিও করেছে। আমি নিজে বিশ্বাস করি যে, বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করাটা এই মহান অর্জনের সঙ্গে অনেকটাই সম্পৃক্ত। সেসব কারণেই যদি একেবারে সাধারণভাবে আজকের প্রেক্ষিত দিয়ে বাংলা ভাষা ও এই ভাষাভাষীদের অবস্থানকে বিশ্লেষণ করা হয় তবে তেমন হতাশার চিত্র আমরা খুঁজে পাব না। হতে পারে, আমাদের অনেক স্বপ্নই যথাসময়ে পূরণ হয় নেই। কিন্তু আমরা যে আমাদের বহমান দারিদ্র্য, দুর্বল অর্থনীতি, অস্থির ও অপরিপক্ব রাজনীতি নিয়ে পেছনে যাচ্ছি, তাতো নয়। বরং ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে বাংলা ভাষা সামনেই এগিয়েছে। পেছনে যায়নি। যদিও আমরা অনেকের কাছেই শুনি যে- ইংরেজী ভাষা এবং লাতিন বর্ণ ছাড়া সারা দুনিয়ার নাকি মুক্তি নেই, তবুও বিপরীত চিত্রটিও এখন দেখা যাচ্ছে। এই সময়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে ব্যক্তিজীবন পর্যন্ত সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য প্রসারিত হয়েছে। কাগজ ও ডিজিটাল মিডিয়ায় বাংলার ব্যবহার ও ব্যবহারকারী দু-ই বেড়েছে। আমাদের সাহিত্যের ও মিডিয়ার পরিধিও বেড়েছে। আমাদের বাংলাদেশের সরকারী কাজের সবই বাংলা ভাষায় করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে নিম্নমান সহকারী পর্যন্ত সকলেই বাংলা ভাষাতেই তাদের প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করেন। তারা প্রস্তাব এবং সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বাংলা ভাষাতেই। আমাদের নিম্ন আদালত, সরকারী ব্যাংক, সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড, পুলিশ সকলেই বাংলাতেই তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। এমনকি সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলায় সামরিক কমান্ডও দিচ্ছেন। এক সময়ে মনে করা হতো, বাংলা ভাষা সামরিক কাজের উপযোগী নয়। ইংরেজীতে কমান্ড না দিলে নাকি জোশ পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীসহ আধা সামরিক বাহিনীসমূহ বাংলা কমান্ড সাফল্যজনকভাবে ব্যবহার করে সেই ধারণাকেও ভুল প্রমাণ করেছে। এটি আমরা গর্ব করতে পারি যে, বিশ্বের আর কোন দেশ বা আর কোন জাতি বাংলা ভাষাকে এই মর্যাদা প্রদান করেনি। সুতরাং আমাদের এই সাফল্য বুক ফুলিয়ে বলার মতো। আমি একথা বলব না যে, অফিস-আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের বা প্রয়োগের কোন প্রযুক্তিগত সঙ্কট নেই। সে বিষয়ে আমরা পরে আলোচনা করব। আমাদের এই সাফল্যকে আমি বড় করেই দেখতে চাই। বিশেষ করে ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সার্বিক সুযোগ তৈরি হবার পর বাংলাদেশের অফিস আদালতে বাংলা ভাষার ব্যবহার ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। একইভাবে বেড়েছে বাংলা পত্র-পত্রিকা-সাময়িকীর প্রকাশনা, পাঠক সংখ্যা এবং প্রকাশনায় এসেছে চমৎকার উজ্জ্বলতা। আমাদের একুশের বইমেলা দেখলে খুব সহজেই এটি অনুভব করা যায় যে, বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কম নয়। বাংলাদেশে প্রকাশিত বইগুলোকেও আর একটি প্রাদেশিক অঞ্চলের প্রকাশনা হিসেবে চিহ্নিত করে রাখা যায় না। কেবল একুশের বইমেলায় প্রতিবছর প্রায় চার হাজার বাংলা বই প্রকাশিত হয়। বইমেলা হয় বাংলাদেশের শহরে উপজেলায় এবং কলকাতায়। বাঙালীরা তো বাংলায় বই লেখেই সেদিন খবর দেখলাম এক জাপানী মহিলা ওয়াতানাবে বাংলা বই লিখছেন। ভাষার জন্য তিনি বাংলাদেশেই থেকে যেতে চান। এমনকি সারা দুনিয়াতে যেখানেই বাঙালী রয়েছে সেখানেই বাংলা প্রকাশনা, ভাষা ও সাহিত্য চর্চা এবং বাঙালী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে। আমি অবাক হইনি যে, খোদ ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ত্রিপুরা রাজ্যে এখন বাংলা ভাষার চর্চা জোরদার হচ্ছে। এমনকি আমরা যখন বারবার ইংরেজী শেখার তাগিদ পাচ্ছি, তখনও বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ এবং বাংলা শেখার প্রতি আমাদের আগ্রহ কমেনি। [২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ঢাকা থেকে বার্সিলোনা যাবার জন্য আকাশ ভ্রমণের সময় লেখা। ৯ মার্চ ১৯ সম্পাদিত। আগামী সংখ্যায় সমাপ্ত] ঢাকা, ৯ মার্চ ২০১৯ ॥ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান-সম্পাদক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক
×