ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীকে হুমকিদাতা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মালয়েশিয়ায়

প্রকাশিত: ১০:০১, ১০ মার্চ ২০১৯

 প্রধানমন্ত্রীকে হুমকিদাতা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মালয়েশিয়ায়

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ দেশী-বিদেশী সাহায্য সংস্থার অধিক সহায়তা এবং কিছু এনজিওর উস্কানি পেয়ে বেড়ে গেছে রোহিঙ্গাদের স্পর্ধা। গ্রামবাসী ও স্থানীয় প্রশাসনের পর এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। তার নাম আবদুল খালেক। ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকিদাতা রোহিঙ্গা যুবকের স্বজনরা উখিয়ার থাইংখালী, বালুখালী ও কুতুপালং ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা। তবে হুমকিদাতা রোহিঙ্গা অবস্থান করছে মালয়েশিয়ায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি দেয়ায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে উখিয়া- টেকনাফ তথা গোটা কক্সবাজার জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা। সচেতন মহল বলছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী মগদের (রাখাইন) বর্বর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মানবতা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ওই সময় অসহায় রোহিঙ্গাদের প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেয়ার ঘটনা নিয়ে এখন সর্বত্র তোলপাড় চলছে। হুমকিদাতা রোহিঙ্গা যুবক দামী জামাকাপড় এবং অলঙ্কারে শোভিত অবস্থায় একটি গাড়িতে বসে প্রধানমন্ত্রীকে আরাকানী ভাষায় ‘পরিণতি খারাপ হবে’ বলে হুমকি দিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের যত উঁচু দালানকোঠা আছে তা ধ্বংস করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবে বলেও জানিয়েছে। ভিডিও বার্তায় ওই রোহিঙ্গা যুবক আরও বলেছে, তাদেরকে (রোহিঙ্গাদের) যেন মজবুর (বাধ্য) করা না হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বিলম্ব ঘটছে দেখে সরকার একলাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করলে ওই রোহিঙ্গা প্রধানমন্ত্রীকে ফেসবুকে হুমকি দেয়। কুতুপালং ক্যাম্পের ডাঃ জাফর আলম ডিপু ওই রোহিঙ্গা যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, হুমকিদাতা রোহিঙ্গা বলিবাজারের আবদুস সালামের পুত্র আবদুল খালেক। তাদের পিত্রালয় হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বলীবাজার ধুমবাই এলাকায়। তার বাবা ওই এলাকার হুয়াক্কাট্টা (চেয়ারম্যান) ছিলেন। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তার আট ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই থাকেন থাইল্যান্ডে আর ছয় ভাই থাকেন উখিয়ার তিনটি ক্যাম্পে।
×