ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পরিদর্শনকালে গণপূর্তমন্ত্রী

পূর্বাচল ডিসেম্বরের মধ্যেই বসবাসের উপযোগী হবে

প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ১০ মার্চ ২০১৯

পূর্বাচল ডিসেম্বরের মধ্যেই বসবাসের উপযোগী হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প বসবাস উপযোগী আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি। ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য কাজের গতি বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে এখন থেকে পূর্বাচলে যে কোন বরাদ্দ গ্রহীতা বাড়ি তৈরির জন্য সকল কাগজপত্রসহ নক্সার জন্য আবেদন করলে পরবর্তী ২০ দিনের মধ্যেই তা অনুমোদন দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। শনিবার সকালে রাজউকের পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প এলাকা ও কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্প ও আইকনিক টাওয়ারের কাজ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় রাজউকের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প পরিচালক উজ্জ্বল মল্লিক, রাজউকের সকল সদস্য, ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্পের পরিচালকসহ রাজউকের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী পদর্শনকালীন রাজধানীর কু থেকে বালু নদী পর্যন্ত ১০০ ফুট খখনন ও উন্নয়ন প্রকল্পের বিন্ন খনন ও উন্নয়ন কার্যক্রম, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের বিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পদর্শন করেন, প্রকল্প বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বিন্ন দিক নির্দেশনা দেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শনের সময় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের স্থানীয় এমপি ও বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী মন্ত্রীর সঙ্গে প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতায় পূর্বাচল প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে দেরি হয়েছে। এই বছরের মধ্যেই উত্তরা প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া সকল বাসিন্দাই বসবাস উপযোগী প্লট পাবেন। তিনি বলেন, মূলত যেভাবে কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার ছিল সেভাবে আমরা পারিনি। এখন সেই প্রতিবন্ধকতা প্রায় শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি, ২০১৯ সালের ভেতরে নাগরিকসেবা দিয়ে বরাদ্দ প্রাপকরা যেন বসবাস করতে পারেন, আমরা সেই উপযোগী করে দেব। এই সময়ের মধ্যে প্রাথমিক সকল কাজ শেষ করা হবে। যদিও প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ এরপরও থাকবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রকল্পের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা আনতে হবে। প্রকল্পে বিলম্ব ঘটিয়ে ব্যয় বাড়ানো কোনভাবেই বরদাশ্ত করা হবে না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বহুল আলোচিত পূর্বাচলের ‘আইকনিক টাওয়ার’ নির্মাণের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় বাকি রয়েছে। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজও চলছে। মূলত আমাদের দেশের আবহাওয়ার কথা ভাবতে হবে। প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে বিশাল এ টাওয়ারটি টিকে থাকতে পারবে কি না, এসব বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। প্রকল্পের অন্য যেসব প্রক্রিয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে শেষ হওয়ার পরে আইকনিক টাওয়ারের নির্মাণশৈলীটা সামনে চলে আসবে। পূর্বাচলের যে ৮৪টি প্লট নিয়ে বিতর্ক উঠেছে, তা ভুল ধারণার উপর সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, যে প্লটগুলো নিয়ে বিতর্ক উঠেছে আমি রাজউকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এবং মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলেছি। উনারা বলেছেন, একটা ভুল ধারণাপ্রসূত হয়ে এই মামলাটা করেছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল নেচার চেঞ্জ যেন না হয়। আমার কাছে এ পর্যন্ত ইনফরমেশন, হাইকোর্টের যে নির্দেশনা ছিল, তার কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। তারপরও সাবজুডিস ম্যাটারে বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশে এটাই সবচেয়ে বড় কোন প্রকল্প যেখানে যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা রাখা হচ্ছে। যেখানে ঢাকায় সাত থেকে আট ভাগ ফাঁকা জায়গা আর এখানে ৪৫ ভাগ ফাঁকা জায়গা। এছাড়া পূর্বাচল প্রকল্পের মধ্যে যেসব বৈদ্যুতিক লাইন টানা হয়েছে সেটা সাময়িক এবং দ্রুত বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য। ভবিষ্যতে মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর থেকে চিন্তা রেখেআমার উপর র্অত দা¡ কিভাবে গসঙ্গে পালন করা যায় এবং রাজউকসহ অন্য প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান করা যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য হচ্ছে, আমরা সেবক, জনসাধারণ কিভাবে সেবা পাবেন। আমরা মালিকপক্ষ নই, আমরা রাজা নই, জনসাধারণ প্রজা নন। তাদের সেবা দিতে হবে এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হানির্দেশ। সেই নির্দেশকে পাথেয় করে আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি। শেখ হাসরকার কোনভাবেই কোন অনিয়ম, কোন দুর্নীও কোন অস্বচ্ছতাকে বরদাশ্ত করবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীআমাদের। আমরা যারা দাত্বে আ, অফিস সহায়ক থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত সকলকে কাজের গবাড়াতে হবে, কাজে স্বচ্ছতা আনতে হবে,সততাকে প্রশ্নের উর্ধে রাখতে হবে। সকল কাজকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে ত্বরান্বত করতে হবে। যেনতেন উপায়ে কাজকে আটকে রাখা যাবে না, প্রকল্প প্রলম্বিত করা, প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো কোনভাবেই আমরা করব না, এটা সরকারী সিদ্ধান্ত। সে লক্ষ্যেই আমি নিজে মাঠে এসেছি। জনাব রেজাউল করিম বলেন, মন্ত্রণালয়ের শীতাতপ নিয়ন্ত্রত কক্ষের চেয়ে আমার কাজের পরিসবাইরে তাই বলতে চাই, কোন প্রকল্পেই অর্থের অপচয় হতে পারবে না, ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চত করতে হবে। অকারণে কাজ আটকে রেখে বিল বাড়ানোর চেষ্টা করলে বরদাশ্ত করা হবে না। জনগণের অর্থ নিয়ে কোন রকম টালবাহানা, কোন রকম অজুহাত সৃষ্টর সুযোগ থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী সবটুকু স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সকলকে তার নির্দেঅনুসরণ করে কাজ করতে হবে। এটাই আমাদের পাথেয়। তিনি বলেন, পূর্বাচল এলাকায় ক্ষূরণ পাবার ক্ষেত্রে কোসমস্যায় পড়লে আমার কাছে আসবেন, কোথায় সমস্যা আমরা দেখ। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী সকলের জন্য আবাসন, কেউ থাকবে না গৃহহীন এই উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি। একমানুষও আবাসহীন থাকবে না। পূর্বাচলে যাদের জমি অগ্রহণ করা হচ্ছে তারা আধুও নাগরিক সকল সুসম্পন্ন স্যাটেলাইট টাউনের অহচ্ছেন। আবার তিক্ষূরণের টাকাও পাচ্ছেন। উন্নয়নের সকল সুতাদের দেয়া হচ্ছে। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, উন্নত রাষ্ট্রের অনুকরণে পূর্বাচলে কাজের প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে চলছে। কোথাও যাতে পাআটকে না থাকে,বর্জ্য আটকে না থাকে, সব পল্পনা মাথায় নিয়ে পূর্বাচলে কাজ চলছে। পরিবেশসম্মত আধুনগর হওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, পূর্বাচল প্রকল্পে সবকরা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সহায়তা কামনা করেন।
×