ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি এ্যালামনাই

সমস্যা সমাধানে সাবেক শিক্ষার্থীদের অবদান রাখার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১০ মার্চ ২০১৯

 সমস্যা সমাধানে সাবেক শিক্ষার্থীদের অবদান রাখার আহ্বান

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাবেক শিক্ষার্থীদের আরও বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাক্তন শিক্ষার্র্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ স্লোগানকে সামনে রেখে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মনজুর এলাহী, রকিবউদ্দীন আহমেদ, এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, মিলনমেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদসহ সাবেক উপাচার্যগণ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উচ্চপদস্থ সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয় মনোরম সাজে। দিনটির আলাদা মর্যাদা ছিল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছে। মিলনমেলায় এসে সবাই ফিরে পায় পুরনো বন্ধুদের। পুরনো দিনের মতো একদিনের জন্য হারিয়ে যায় অতীতের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার মুহূর্তগুলোতে। সবাই ফিরে পায় পুরনো দিনের ভালবাসা। উদ্বোধনী সঙ্গীত শেষে সমবেতভাবে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বর্ণিল আয়োজন শুরু হয়। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। বয়স, পদ ও সামাজিক অবস্থান ভুলে তারা হারিয়ে যান নিজেদের যৌবনে। ক্যাম্পাসের ফেলে আসা সেই রঙিন জীবনকে খুঁজে ফেরেন তারা। টিএসসি’র আড্ডা, দুরন্তপনা অথবা আন্দোলন-সংগ্রামের উত্তাল দিনগুলো তাদের স্মৃতিতে ভেসে ওঠে। দিনভর আনন্দ-উল্লাস, ছবি তোলা, বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা, হৈচৈ ও কোলাহলে মেতে থাকে সবাই। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনন্য অবদান রেখেছেন। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এ্যামবাসেডর হিসেবে বর্ণনা করে উপাচার্য বলেন, বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। তোফায়েল আহমেদ ছাত্র জীবনের বর্ণাঢ্য জীবন ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিঝরা দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন। প্রায় তিন দশক পর ডাকসু নির্বাচনের আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান ডাকসুর সাবেক ভিপি ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার দাবি করেন তিনি। এছাড়া নির্বাচিত ডাকসু নেতৃবৃন্দ জাতির প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণ করে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, প্রাক্তনরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিসহ নানা সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগে সম্পৃক্ত হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রকাশ হবে। এ সময় তিনি সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ঢাবি এ্যালামনাইয়ের কর্মসূচীগুলো তুলে ধরেন। শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে সাবেক শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
×