ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জহুরুলের শতকে জিতল আবাহনী

প্রকাশিত: ১০:৩০, ৯ মার্চ ২০১৯

 জহুরুলের শতকে জিতল আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের (ডিপিএল) উদ্বোধনী দিনেই অঘটনের শিকার হয়েছে প্রথম ডিপিএল টি২০ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এবারের নবাগত দল উত্তরা স্পোর্টিংয়ের কাছে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তারা ৯ রানে হেরে যায়। তবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড শুভসূচনা করেছে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ছাড়াই। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমির অপরাজিত ১২১ রানের পরও মাত্র ৯ উইকেটে ২১৬ রান করেছিল তারা। পরে বিকেএসপিকে ১৫৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৬০ রানের সহজ জয় পায় আবাহনী। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আবাহনী-বিকেএসপি ম্যাচ, মিরপুর ॥ মাশরাফির অনুপস্থিতিতে আবাহনীকে নেতৃত্ব দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামার পর তিনি ব্যর্থ হয়েছেন ১৩ রানে সাজঘরে ফিরে। জহুরুল ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ছাড়া বাকিরাও ব্যর্থ ছিলেন ব্যাট হাতে। জহুরুল ১৪৭ বলে ১৩ চার, ১ ছক্কায় ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন এবং সাইফউদ্দিন ৮০ বলে ৬ চারে ৫৫ রান করেন। সাব্বির রহমান (২) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (০) উভয়ে ব্যর্থ হন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২১৬ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় আবাহনী। বিকেএসপির পক্ষে ৩ উইকেট নেন আবু নাসের। জবাব দিতে নেমে আবাহনী বোলারদের দাপটে প্রিমিয়ার লীগে নবাগত বিকেএসপির কোন ব্যাটসম্যানই সুবিধা করতে পারেননি। ৪০.৫ ওভারে তারা ১৫৬ রানেই গুটিয়ে গেছে। অধিনায়ক আব্দুল কাইয়ুম ৫৪ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় হার না মানা ৩৮ রান করেন। এছাড়া ওপেনার রাতুল খান করেন ৩৭। দুই বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম ২টি ও নাজমুল ইসলাম অপু ৩টি উইকেট নেন। স্কোর ॥ আবাহনী ইনিংস- ২১৬/৯; ৫০ ওভার (জহুরুল ১২১*, সাইফউদ্দিন ৫৫, মোসাদ্দেক ১৩; নাসের ৩/৩৯, মুরাদ ২/৫৪)। বিকেএসপি ইনিংস- ১৫৬/১০; ৪০.৫ ওভার (কাইয়ুম ৩৮*, রাতুল ৩৭, শামীম ১৮; অপু ৩/৩০, সানজামুল ২/৪০)। ফল ॥ আবাহনী ৬০ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ জহুরুল ইসলাম (আবাহনী লিমিটেড)। রূপগঞ্জ-ব্রাদার্স ম্যাচ, বিকেএসপি-৩ ॥ টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রাদার্স ইয়াসির আলী রাব্বির ৬৯ বলে ৫ চার, ২ ছক্কায় করা ৬৫ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ২২০ রান তোলে। রূপগঞ্জের পক্ষে মুক্তার আলী ও নাবিল সামাদ দু’টি করে উইকেট নেন। জবাবে ১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান তুলে ৩ উইকেটের রূদ্ধশ্বাস জয় পায় রূপগঞ্জ। শাহরিয়ার নাফীস ৯৮ বলে মাত্র ২ চারে ৫৯ রানের একটি ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন। ব্রাদার্সের হয়ে ভারতীয় অলরাউন্ডার চিরাগ জানি ৬৪ রানে নেন ৩ উইকেট। স্কোর ॥ ব্রাদার্স ইনিংস- ২২০/৮; ৫০ ওভার (ইয়াসির ৬৫, শরীফুল্লাহ ৩৫, ফজলে রাব্বি ৩৪, শরীফ ২৪*; মুক্তার ২/৩৮, নাবিল ২/৪১)। রূপগঞ্জ ইনিংস- ২২১/৭; ৪৯.৫ ওভার (নাফীস ৫৯, আজমির ৩৮, আসিফ ৩৮; চিরাগ ৩/৬৪, শরীফ ২/৩৫)। ফল ॥ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ শাহরিয়ার নাফীস (রূপগঞ্জ)। শেখ জামাল-উত্তরা ম্যাচ, ফতুল্লা ॥ ফতুল্লায় টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে নামে এবার ডিপিএল টি২০ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তবে উত্তরার তানজিদ হাসান তামিমের ৭৫ বলে ২ চার, ৪ ছক্কায় করা ৬৪ ও আনিসুল ইসলাম ইমন ৭৫ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৪৭ রান করলে উদ্বোধনী জুটিতে ১১৩ রান পায়। পরে সজীব হাসান তিনে নেমে ৮৩ বলে ৪ চারে অপরাজিত ৬১ এবং মিনহাজ খান ৩৪ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৩৮ রান করলে ৪ উইকেটে ২৪৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। শেখ জামালের হয়ে লেগস্পিনার তানবীর হায়দার ২২ রানে নেন ২ উইকেট। জবাবে শুরু থেকেই চাপে পড়া শেখ জামাল ৩৫ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তবে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ৬৫ বলে ৩ চার, ৩ ছক্কায় ৬৫ এবং নাসির হোসেন ৭৮ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৪৮ রান করলে জয়ের পথেই থাকে শেখ জামাল। কিন্তু পরের দিকে জিয়াউর রহমান ২৭ বলে ২৭ ও ইলিয়াস সানি ২০ বলে ২৮ রান করলেও শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১১ রান তুলতে পারেনি তারা। ৯ উইকেটে ২৪০ রানে থেমে যায় শেখ জামাল। আব্দুর রশীদ ও আসাদুজ্জামান পায়েল ৩টি করে উইকেট নেন। স্কোর ॥ উত্তরা স্পোর্টিং ইনিংস- ২৪৯/৪; ৫০ ওভার (তানজিদ ৬৪, সজীব ৬১*, আনিসুল ৪৭, মিনহাজ ৩৮; তানবীর ২/২২)। শেখ জামাল ইনিংস- ২৪০/৯; ৫০ ওভার (সোহান ৬৫, নাসির ৪৮, ইলিয়াস ২৮, জিয়া ২৭; রশীদ ৩/৪৪, আসাদুজ্জামান ৩/৬৫, নাহিদ ২/৫০)। ফল ॥ উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব ৯ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ আব্দুর রশীদ (উত্তরা স্পোর্টিং)।
×