ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এবার সাবিনাদের প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল

প্রকাশিত: ১০:৩০, ৯ মার্চ ২০১৯

 এবার সাবিনাদের প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বয়সভিত্তিক দলের সাফল্যের উদ্যাপন শেষ না হতেই এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আগামী ১০ মার্চ নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে চায় গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যারা। খেলা এবং অনুশীলনের মধ্যে থাকায় এ আসরে এবার ভাল ফলাফলের লক্ষ্য বাংলাদেশের। সেমিফাইনাল উৎরাতে পারলে আশা শিরোপা জয়েরও। বছরটা দুর্দান্ত কেটেছে বাংলাদেশ নারী দলের জন্য। বয়সভিত্তিক দলের সাফল্য অলঙ্কৃত করেছে দেশের ফুটবলকে। অংশ নেয়া সব টুর্নামেন্টেই জয়ের হাসি হেসেছে তহুরা-মারিয়া-আঁখিরা। তবে এবারের লড়াইটা ভিন্ন। লড়তে হবে ভারত-নেপালের জাতীয় দলের সঙ্গে। বয়সভিত্তিক দল যখন হরহামেশাই জয় পায় এসব দলের বিপক্ষে, জাতীয় দলের তখন বেশ ভগ্নদশা। অভিজ্ঞতা আর খেলোয়াড়ী কারিগরিতে এখানে অনেক এগিয়ে বালা-কমলারা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ফারাক অনেকটাই ঘুচে গেছে বলেই মনে করেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তবে এসব নিয়ে না ভেবে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চান লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সাবিনা-মৌসুমী-স্বপ্নারা জানেন, লড়াইটা অসম এবং কঠিন। কিন্তু হাল ছাড়তে রাজি নন বরং লড়াই করতে চান চোখে চোখ রেখে। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই ভাল খেলতে চান তারা। গ্রুপে (‘এ’) আছে নেপাল এবং ভুটান। শক্তিমত্তার হিসেব করলে নেপালকেই কিছুটা ভয় ছোটন শিষ্যাদের। তবে ভয়কে জয় করাই যে তাদের লক্ষ্য। তাছাড়া নেপালের সম্পর্কে পূর্ব ধারণা আছে তাদের। টুর্নামেন্টের আগে খুব বেশি স্বপ্ন দেখাতে চান না কোচ ছোটন। বাস্তবতা মেনে এগোতে চান ধীরলয়ে। তবে সুযোগ আসলে ছাড় দেবেন না কোন প্রতিপক্ষকেই। প্রস্তুতি যথেষ্ট ভাল বলে জানান ছোটন। প্রথম টার্গেট সেমিফাইনাল। ফাইনালে যদি খেলতে পারেন তাহলে সেটাকে বোনাস হিসেবে ধরে নিচ্ছেন তিনি। সাফে গতবার ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশের নারীরা। যা এখন পর্যন্ত তাদের সেরা সাফল্য। সাবিনা-স্বপ্নাদের সামনে সুযোগ এবার নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার। নারী সাফে প্রথমেই শিরোপায় চোখ রাখছে না বাংলাদেশ, ধাপে-ধাপে এগোতে চায়। গ্রুপপর্বে ভুটানের চেয়ে নেপালকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভাবছেন কোচ। জুনিয়রদের পাশাপাশি সিনিয়ররা দায়িত্ব নিলে মিলবে কাক্সিক্ষত ফল। লড়াকু মানসিকতা থাকলে যে কোন দলকেই হারানো সম্ভব বলছেন- সাবিনা-মৌসুমীরা। বয়সভিত্তিক দলের মেয়েরা নিয়মিত সাফল্য পেলেও জাতীয় দলের চিত্রটা উল্টো। শেষ দুটি প্রীতি ম্যাচে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার কাছে হারতে হয়েছে। অলিম্পিক বাছাইয়ে তিন ম্যাচের কোনটাই জিততে পারেনি লাল-সবুজরা। দুই গোলের বিপরীতে হজম করেছে ১৩ গোল। বয়সভিত্তিক দলের খেলোয়াড়রা ফর্মে থাকায় নির্ভার থাকছেন কোচ ছোটন। সাবিনা-কৃষ্ণাদের মতো অভিজ্ঞরা দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারলে ফাইনালে খেলা অসম্ভব নয়। তবে যে কোন মূল্যে সেমিফাইনাল খেলতে চায় দল। সর্বশেষ আসরে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে। এবারও ফেবারিট ওরাই। গ্রুপসেরা হতে পারলে ফাইনালের আগে ভারতকে মোকাবেলা করতে হবে না। তবে ওসব সমীকরণে হাঁটতে চায় না বাংলাদেশ। নিজেদের স্বাভাবিক খেলায় আস্থা রাখছে সবাই। ১০ মার্চ নেপালের বিমানে ওঠবে নারী দল। ১৪ মার্চ ভুটান ও ১৬ মার্চ নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচে লড়বে সানজিদা-কৃষ্ণারা।
×