ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নেপালের রাষ্ট্রপতির রাস্তা পারাপার নিয়ে...

প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ৯ মার্চ ২০১৯

 নেপালের রাষ্ট্রপতির রাস্তা পারাপার নিয়ে...

সন্ধে বেলা। নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভা-ারী নিজের মহারাজগঞ্জের বাসভবন ‘শীতল নিবাস’ থেকে ভদ্রকালিতে সেনা সদর দফতরে যাচ্ছিলেন। সে জন্য ভদ্রকালি থেকে লাইনচোর পর্যন্ত এলাকায় সব ধরনের যান ও জনচলাচল বন্ধ করে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। ১০, ২০ এবং ৩০ মিনিট ছাড়িয়ে এই অচলাবস্থা যখন ৪০ মিনিটে গড়ায়, তখনই জটে আটকে পড়া লোকজনের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। প্রথমে হৈ-হুল্লোড়, হর্ন বাজানো এরপর ট্রাফিক পুলিশের বাধা ভেঙ্গেই রাস্তায় নেমে পড়ে লোকজন। সম্প্রতি ঘটা এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেদিন রাতে ফেসবুক-টুইটারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পোস্ট হওয়ার পর এটি হাজারোবার শেয়ার হয়েছে। শেয়ারকারীরা প্রতিবাদের ওই ধরণটিকে সাধুবাদ জানিয়ে ‘ভিআইপি বহরের’ কারণে নিজেদের ভোগান্তির কথাও তুলে ধরেন। ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন ‘ফারকধর.কম’ নামে একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের কামাল বিস্তা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ট্রাফিক কর্মকর্তারা যানবাহন ও লোকজনকে ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখছিলেন। এমনকি রাষ্ট্রপতির বহর চলে যাওয়ার পরও সাধারণ যানবাহন চলতে দেয়া হচ্ছিল না। ঘটনাটির বর্ণনা দিয়ে বিস্তা বলেন, প্রথমে একজন আরোহীকে বাইক থেকে নামিয়ে দীর্ঘসময় আটকে রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাফিক কর্মকর্তার সঙ্গে বচসায় জড়ান। বাগ্বিত-ার এক পর্যায়ে তিনি জনসাধারণের চলাচল উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা বলতে থাকেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে এবার আশপাশের লোকজনও ট্রাফিক কর্মকর্তার সঙ্গে বিতর্কে জড়ান। তারা চেঁচামেচি শুরু করেন। হর্ন বাজাতে থাকেন বাইকাররা। কেউ কেউ চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘এই রাস্তা জনগণের, রাষ্ট্রপতির নয়। আমরাই রাষ্ট্রপতি বানিয়েছি। এটা জনগণের চলাচলের রাস্তা, রাষ্ট্রপতি ‘সাবারী’ (বাহাদুর) আমাদের এতক্ষণ ধরে আটকে রাখতে পারেন না।’ এক পর্যায়ে বাইকাররা বাধা ডিঙিয়ে চলতে থাকেন, তখন ট্রাফিক কর্মকর্তাদের অসহায় হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না। নিজের সংবাদমাধ্যমের জন্য ভিডিওটি গ্রহণ করলেও বিস্তা ভাবেননি এটি এভাবে ছড়িয়ে যাবে। তবে তিনি আশা করেন, এই প্রতিবাদ কর্তৃপক্ষের নজরে আসবে এবং এসবে তারা আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে।
×