ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছুটির দিনে শেষ প্রচারে সরগরম রাজশাহীর ৮ উপজেলা

প্রকাশিত: ০৯:২১, ৯ মার্চ ২০১৯

 ছুটির দিনে শেষ প্রচারে সরগরম রাজশাহীর  ৮ উপজেলা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে শুক্রবার। শেষদিনে সকাল থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে রাজশাহীর ৮ টি উপজেলার মাঠ। দুটিতে প্রচারে চেয়ারম্যানরা না থাকলেও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। আগামীকাল রবিবার রাজশাহীর ৮ টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন অফিস। রাজশাহীর আট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা শুক্রবার সকাল থেকে নাওয়াখাওয়া ভুলে দৌড়িয়েছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দেখিয়েছেন উন্নয়নের পরিকল্পনা। অধিকাংশ প্রার্থী ক্ষতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা হলেও ভোট নিয়ে বাড়ছে তাদের মধ্যে টেনশন। তবে ভোটারদের ভাষ্য, যিনি সত্যিকার অর্থে উন্নয়ন ঘটাবেন, যিনি মাদকমুক্ত এলাকা গড়ে তুলে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন তাকেই তারা ভোট দেবেন। রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল ১০ মার্চ। প্রার্থীরা প্রচার শুক্রবার শেষ হয়েছে। তবে শুক্রবার সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই প্রতিটি বাড়ির দরজায় কড়া নাড়তে চেষ্টা করেন প্রার্থীরা। জেলার তিন উপজেলা তানোর, গোদাগাড়ী ও চারঘাটে বিদ্রোহী থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা রয়েছেন টেনশনে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত ফকরুল ইসলাম (নৌকা) ও নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী এ্যাডভোকেট টিপু সুলতান (মোটরসাইকেল) এবং জাতীয় পার্টির এ্যাডভ। ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল)। তিনজন প্রার্থীর মধ্যে প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ফকরুল ইসলাম। তিনি শুক্রবার শেষদিনে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অবিরাম ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের শোনাচ্ছেন উন্নয়নের পরিকল্পনা। বিজয়ের পরে মাদক প্রতিরোধ, বাল্যবিয়ে বন্ধ, নারী নির্যাতনসহ যুবকদের কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে শেষদিনেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী টিপু সুলতানের প্রচার মাঠে থাকলেও প্রচার নেই জাপার প্রার্থী ইকবাল হোসেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও প্রচারে মাঠে দৌড়াচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানরা। তারা ভোটারদের দেখাচ্ছেন আলোর স্বপ্ন। বিজয়ের পরে চারঘাটের উন্নয়নে তারা কাজ করবেন বলে ঘোষণা দিচ্ছেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নেতা ও সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সকলের সহযোগিতায় শেষবারের মতো দোয়া প্রার্থনা করেছেন। এতে করে প্রচারে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মাঝে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান কে হচ্ছে তা নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা। তবে প্রচারে এগিয়ে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা প্রতীক) এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল মালেক (টিউবওয়েল প্রতীক)। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচারে নামলেও ভোটের মাঠে মূল লড়াইয়ে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), জাতীয় পার্টির এ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দীন বিশ্বাস (লাঙ্গল) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বদিউজ্জামানের (আনারস) মধ্যে। ওয়ার্কার্স পাটির প্রার্থী সাইদুর রহমান (হাতুড়ি) প্রচার চালিয়ে আসছে। এছাড়া জেলার তানোর, বাগমারা, পুঠিয়া, দুর্গাপুরের প্রার্থীরাও শেষদিনে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন। তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না সকাল থেকে রাত অবধি ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে। জেলার মোহনপুর ও বাঘা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ রয়েছেন জেলার পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
×