ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চিকিৎসক সঙ্কটে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ৯ মার্চ ২০১৯

  চিকিৎসক সঙ্কটে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট চরমে। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ অপেক্ষা করে কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে অনেক রোগী ছুটছেন খুলনা মেডিক্যালসহ অন্যান্য হাসপাতালে। প্রায় ১৭ লক্ষাধিক লোক অধ্যুষিত বাগেরহাটের ৯ উপজেলার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র বাগেরহাট সদর হাসপাতাল। জনগুরুত্বপূর্ণ এ হাসপাতালের চিকিৎসক সঙ্কট সমাধানের দাবি এলাকাবাসীর। ১৯৭০ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে এ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। পরে ১৯৯৭ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও গত দুই দশক ধরে ৫০ শয্যার জনবলে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। আর বর্তমানে সেই ৫০ শয্যার জনবলও অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে দিন দিন দুরবস্থায় পড়ছে চিকিৎসা সেবা। ভয়াবহ এ চিকিৎসক সঙ্কটের কথা বারবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। ৫০ শয্যার লোকবল অনুযায়ী হাসপাতালে ২৪ জন চিকিৎসকের ১১টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে কনসালট্যান্টের ১২টি পদের মধ্যে ৭টি এবং মেডিক্যাল অফিসারদের ১২টি পদের ৪টি পদ শূন্য রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ১৭টি পদ শূন্য রয়েছে। চিকিৎসকের শূন্য পদগুলো হলো- সিনিয়র কনসালট্যান্ট অর্থোপেডিক সার্জারি, সিনিয়র কনসালট্যান্ট সার্জারি, সিনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি, সিনিয়র কনসালট্যান্ট চক্ষু, সিনিয়র কনসালট্যান্ট এ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু, জুনিয়র কনসালট্যান্ট রেডিওলজি, মেডিক্যাল অফিসার দুইজন, মেডিক্যাল অফিসার (ইউনানী) একজন এবং প্যাথলজিস্ট একজন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (এ্যানেসথেসিয়া) ডাঃ মনোয়ার হোসেন তালুকদার অনুপস্থিত রয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসক আছেন মাত্র ১২ জন। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ মশিউর রহমান বলেন, ‘আউটডোর ও ইনডোরে দৈনিক ৪শ’ থেকে ৫শ’ রোগী চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। অল্প সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’ বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ জিকে সামসুজ্জামান বলেন, ‘১০০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ৫০ শয্যার অর্ধেকের মতো জনবল আছে। শয্যা ১০০ হলেও সবসময় ১৫০ থেকে ১৬০ জন রোগী ভর্তি থাকে। এদের চিকিৎসা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়।’ চিকিৎসক সঙ্কটের কথা প্রতি মাসে লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়ে জানানো হচ্ছে। অচিরেই চিকিৎসক সঙ্কট সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
×