ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এডিআর অনুপাত সমন্বয়ে সময় বাড়ল আরও ৬ মাস

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ৮ মার্চ ২০১৯

এডিআর অনুপাত সমন্বয়ে সময় বাড়ল আরও ৬ মাস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংকের অগ্রিম বিনিয়োগ-আমানত অনুপাত (এডিআর বা আইডিআর) সমন্বয়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন করে সময় বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এডিআর/আইডিআর নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ সময় বাড়ানো হয়েছে আরও ৬ মাস। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন করে সময় বাড়ানোর কারণে পুঁজিবাজার ও বেসরকারী খাতের অর্থায়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, আগামী ৩১ মার্চ অগ্রিম বিনিয়োগ-আমানত অনুপাত (এডি/আইআরডি) সমন্বয়ের শেষ সময় ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্দেশিত মাত্রাসীমায় ক্রমান্বয়ে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। গত বছর কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংক বেঁধে দেয়া এডিআর রেশিও লঙ্ঘন করে বেশি ঋণ দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে প্রচলিত ব্যাংকগুলোর এডিআর রেশিও ৮৩.৫ থেকে ৮৫ শতাংশ ও ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য তাদের আয়-আমানত অনুপাত (আইডিআর) ৮৯ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দেয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এডিআর ও আইডিআর সমন্বয়ের সময়সীমা বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশের কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো এক সার্কুলারে বলা হয়, অগ্রিম বিনিয়োগ-আমানতের অনুপাতের (এডিআর/আইডিআর) নির্দেশিত মাত্রা অতিক্রান্ত থাকায় ব্যাংকগুলোক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নির্দেশিত মাত্রায় নামিয়ে আনার সুনির্দিষ্ট কার্যপরিকল্পনা গ্রহণ করে ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনকে অবিহত করতে হবে। এ বিষয়ে অগ্রগতির মাসিক প্রতিবেদন প্রতিমাসের প্রথম ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনকে প্রদান করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১১ ব্যাংকের এডিআর রেশিও নিধারিত সীমার চেয়ে বেশি রয়েছে। এছাড়া এ অনুপাত বেড়ে যাওয়ায় কিছু ব্যাংক গ্রাহকদের ঋণ দিতে পারছে না। আবার কিছু ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করলেও তারল্য সঙ্কটের কারণে তা বিতরণ করতে পারছে না। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে বেসরকারী খাতে ঋণ ১৬.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে নির্বাচন ইস্যু ও তারল্য সঙ্কটের কারণে বেসরকারী খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয় ১৩.৩ শতাংশ। এ কারণে দ্বিতীয়ার্ধের ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারী খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমিয়ে ১৬.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগযোগ্য আমানত রয়েছে ৮১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা। এ আমানতের অর্ধেকের বেশি রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর হাতে। ২০১৮ সালের অক্টোবর শেষে এ ব্যাংকগুলোর হাতে বিনিয়োগযোগ্য আমানত ছিল ৪৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। একই সময়ে বেসরকারী খাতের ব্যাংকগুলোর হাতে মাত্র ২০ হাজার ৯১৩ কোটি টাকার বিনিয়োগযোগ্য আমানত ছিল। অর্থাৎ গড়ে একটি বেসরকারী ব্যাংকের হাতে ৫০০ কোটি টাকার আমানতও নেই।
×