ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গীকার ছাত্রলীগের

প্রকাশিত: ১১:০৬, ৭ মার্চ ২০১৯

স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গীকার ছাত্রলীগের

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ‘বন্ধ দুয়ার খুলবে এবার, সময় এখন খোলার; সময় এখন স্বপ্নের ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় গড়ার’ স্লোগানকে সামনে রেখে ছাত্রলীগ নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ ডাকসু নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে। তবে প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠানে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মঞ্চ স্থাপন করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে চার ঘণ্টাব্যাপী নির্বাচনী প্যানেলের পরিচিতি সভায় এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। পরিচিতি সভায় প্যানেলের এজিএস প্রার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের সঞ্চালনায় সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। ইশতেহার পাঠ করেন জিএস পদপ্রার্থী গোলাম রাব্বানী। এ সময় প্যানেলটির নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সনজিত চন্দ্র দাসসহ প্যানেলের হল সংসদের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্যানেল পরিচিতি ও ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে ডাকসু নির্বাচনে সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ মনোনীতি ২৫ সদস্য একে একে নিজেদের পরিচয় দেন। নির্বাচিত হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কি করার পরিকল্পনা তা উল্লেখ করে নিজের ব্যালট নম্বর বলে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চান। ঘোষিত ইশতেহারে ছাত্রলীগের অঙ্গীকারগুলো হলো- পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনা, মানহীন সান্ধ্যকালীন কোর্স ও সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল, অবৈধভাবে আদায়কৃত বর্ধিত হল ও বিভাগ ফি এবং জরিমানা বন্ধ করা, ক্যাম্পাসে অবাধ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ও রাত ১০টার পর প্রাইভেট পরিবহন বন্ধ করা এবং ক্যাম্পাসে রিক্সা ভাড়া নির্ধারণ, হলের খাবারের মান উন্নয়নে ভর্তুকি বৃদ্ধি, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, সকল শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যবীমা, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচী, আদিবাসী ও পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র নির্মাণ প্রভৃতি। ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ভোট দেয়া শিক্ষার্থীদের অধিকার। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে প্রশাসন এ অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত রেখেছে। আমরা সৌভাগ্যবান যে, দীর্ঘদিন পর আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ডাকসুর মাধ্যমে ছাত্রদের প্রতি শিক্ষকদের উদাসীনতা দূর করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে চাই। ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নয়নে, হলের রিডিং রুমে আসন সংখ্যা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখাসহ শিক্ষার্থীদের সকল দাবি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। ছাত্রলীগই পারে শিক্ষার্থীদের সকল স্বপ্নপূরণ করতে। আমরা বিজয়ী হলে এই প্যানেলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উৎসর্গ করব। জিএস পদপ্রার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, ডাকসু নির্বাচনে আমাদের প্যানেল সেরাদের সেরা। আমাদের প্রতি শিক্ষার্থীদের অগাধ বিশ্বাস রয়েছে আমাদের ভালবাসার আধিপত্য। ১০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও সুন্দর ক্যাম্পাস এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের একাগ্রতার ফসল। যতবারই ডাকসুতে ছাত্রলীগের প্যানেল নির্বাচিত হয়েছে, ততবারই ডাকসু প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ৬৯, ৭১ ও ৯০ সালে ছাত্রলীগ যেমন নতুন কিছু করেছে তেমনি এবারও নতুন কিছু হবে। আমাদের ভাল কিছু করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য দুটিই রয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমে স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চাই।
×