ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা

সাবেক এমপি রানার ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ৭ মার্চ ২০১৯

সাবেক এমপি রানার ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়। আদালতে রানার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ। আদেশের পর ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুটি মামলা কার্যতালিকায় ছিল। এর মধ্যে যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্ট বুধবার তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে। হাইকোর্টের এ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপীল বিভাগে যাবে বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকায় রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ওই আবেদনের শুনানি আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় পিছিয়ে দিয়েছে আদালত। কয়েক দফা চেষ্টার পর ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ফারুক হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন রানা। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে তা স্থগিত করে দেয় আপীল বিভাগ। এরপর ওই বছরের ১৯ অক্টোবর আপীল বিভাগ জামিনের এ স্থগিতাদেশ চলমান রেখে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়। ওই আদেশ অনুযায়ী চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। পরে নতুন করে বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করেন রানা। বিচারিক আদালতে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ফারুক হত্যা মামলায় এবং ৩০ সেপ্টেম্বর যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। ২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে তারা এমপি রানার দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে। আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলারও আসামি। পরে ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৮ মে রানাকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠায় আদালত। এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন রানা।
×