ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির মানববন্ধন

খালেদাকে মুক্তি না দিলে আন্দোলনের হুমকি ফখরুলের

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ৭ মার্চ ২০১৯

খালেদাকে মুক্তি না দিলে আন্দোলনের হুমকি ফখরুলের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে দুর্বার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তি দাবিতে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ হুমকি দেন। ফখরুল বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না। আমরা বারবার খালেদা জিয়ার পছন্দমতো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি করলেও সরকার তা শুনছে না। সরকার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ভয় পায়। কারণ সরকার মনে করে তিনি চিকিৎসা নিতে গেলেই তারা ক্ষমতা হারাবে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে। খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে সরকার। সবগুলো মামলা জামিনযোগ্য হলেও শুধু সরকারের প্রতিহিংসার কারণে তাকে মুক্ত করা যাচ্ছে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারে যাওয়ার পর খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের নামে ৯৮ লাখ মামলা দেয়া হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ২৫ লাখ নেতাকর্মীকে। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছি। এখন আমাদের দলকে শক্তিশালী করতে হবে। এরপর দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। তবে সবার আগে আমাদের খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য আইনী লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথে আন্দোলন করতে হবে। কারণ, আন্দোলন ছাড়া তার মুক্তি হবে না। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা নেই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ কারণে সিটি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। মানববন্ধন কর্মসূচীতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ। ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, মন্ত্রীরা যদি অসুস্থ হয়, বিদেশ থেকে ডাক্তার আসে। আর কীভাবে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়, তা আমরা দেখেছি। আর আমাদের দলের নেত্রী খালেদা জিয়া দেশেই চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও ন্যূনতম চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। আমরা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাকে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। ড. মোশাররফ বলেন, আমাদের প্রধান দাবি, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি যেন বিদেশে অথবা বাংলাদেশে তার পছন্দমতো চিকিৎসা নিতে পারেন। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য সরকার দায়ী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার কোন ক্ষতি হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে সরকার যত বড় বড় কথা বলুক না কেন, তাদের কোন জনপ্রতিনিধিত্ব নেই। তারা গায়ের জোরে টিকে আছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমি আপনাদের বলব, আপনারা আর কর্মসূচী পালনের বিষয়ে পুলিশের অনুমতি চাইবেন না।
×