ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শন যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে রেল মন্ত্রীর আল্টিমেটাম

প্রকাশিত: ১৩:২১, ৬ মার্চ ২০১৯

কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শন  যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে রেল মন্ত্রীর আল্টিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে (কমলাপুর) অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম দূর করা হবে। একই সঙ্গে অনিয়মের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি। মঙ্গলবার ঢাকা রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। রেল কর্মকর্তাদের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, এক মাস সময় দেয়া হলো। এর মধ্যে রেলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। কোন ধরনের গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। কেননা আমি স্টেশনের সার্বিক কার্যক্রম দেখে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে না পারলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটি দেখতে আগামী ৫ এপ্রিল আবার এখানে পরিদর্শনে আসার কথাও বলেন তিনি। রেলমন্ত্রী বলেন, সরকারের ১০টি মেগা প্রকল্পের দুটিই রেলের। রেল ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে টিকিট কালোবাজারি রোধে বর্তমানে ট্রেনে টিকেট বিক্রিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোন ধরনের কালোবাজারি হতে দেয়া হবে না। এ সময় মন্ত্রী স্টেশনের বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং সংশিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর কমলাপুর রেলস্টেশনে পাবলিক টয়লেট পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখে কর্মকর্তাদের ওপর চটে যান রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাবলিক টয়লেট বন্ধ বলেই মানুষ রাস্তায় দাড়িয়ে প্রসাব করছেন। এ সময় তিনি জানতে চান, এটা কিসের ভবন? কর্মকর্তারা জানান, এটি সিটি কর্পোরেশনের পাবলিক টয়লেট। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে যান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এগুলো বন্ধ পরিত্যক্ত কেন? স্টেশন এলাকায় এর রক্ষণাবেক্ষণ কে করবে? সিটি কর্পোরেশনের বলে এটি ফেলে রাখবেন? তাহলে আপনাদের কাজ কী? রেলমন্ত্রী বলেন, টয়লেট বন্ধ বলেই মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রসাব করছে। টয়লেট খোলা থাকলে তো এ মানুষ এখানে সেখানে প্রসাব-পায়খানা করত না। নতুন সরকার এসেছে। নতুন মন্ত্রী, জনগণের জন্য এ উপলক্ষে নতুন কিছু কাজ করেন। এভাবে দায়সারা কাজ করলে চলবে না। আপনাদের কর্যক্রমে আমি সন্তুষ্ট হতে পারলাম না। মানুষের স্বার্থে দ্রুত এটি খুলে দেন।
×