ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টিআইবির নীতি একচোখা ॥ দুদক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ৬ মার্চ ২০১৯

টিআইবির নীতি একচোখা ॥ দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নীতি একচোখা বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জেনেভাভিত্তিক নীতি ও কৌশল বিশেষজ্ঞ ম্যাথিয়াস বস-এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান। এ সময় বাংলাদেশের পরামর্শক মাহিন সুলতান ও টিআইবি’র ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাফর সাদিক উপস্থিত ছিলেন। টিআইবি’র কর্মকা- নিয়ে এ দেশের মানুষের মূল্যায়ন, দুদক-টিআইবি সম্পর্কের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে মতামত জানতে চান ম্যাথিয়াস বস। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, টিআইবি’র ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে। তবে কিছু সমালোচনাও শোনা যায়। টিআইবি দেশের শাসন প্রক্রিয়া তথা সরকার ও সরকারী সংস্থার যে কোন ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতিতেই উচ্চকণ্ঠ থাকে। তবে শুধু সম্যসা বা ত্রুটি তুলে ধরা টিআইবি’র কাজ হতে পারে না, বরং এসব সমস্যা সমাধানের পথ বাতলে দেয়ার সুযোগও তাদের রয়েছে। সমস্যা শনাক্তের পাশাপাশি এর কারণ এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় বের করা এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হওয়া উচিত। ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারী-বেসরকারী, এমনকি বৈদেশিক অর্থে পরিচালিত প্রতিটি সংস্থারই অর্থের মালিক জনগণ। তাই টিআইবিসহ প্রতিটি সংস্থার বাজেট, আয়-ব্যয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা থাকা উচিত। তাদের আয়-ব্যয়, কর্মপরিকল্পনা,অডিট কার্যক্রম শুধু ওয়েবসাইটে না রেখে গণমাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমেও জানানো দরকার। দুদক চেয়ারম্যান বলেন,দুদকের সঙ্গে টিআইবি’র আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ, এটা বেশ ফলপ্রসূ। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সঙ্গে দুদকের দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং উত্তম চর্চার বিকাশে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের আলোকেই টিআইবি’র সঙ্গে যৌথভাবে গণশুনানিসহ বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
×