ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুখ খুলছেন বিএনপি নেতারা

ভোটে ভরাডুবির জন্য হাইকমান্ড দায়ী

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ৬ মার্চ ২০১৯

ভোটে ভরাডুবির জন্য হাইকমান্ড দায়ী

শরীফুল ইসলাম ॥ দলীয় হাইকমান্ডের কারণেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে বলে দলের নেতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যেই ক’জন নেতা প্রকাশ্যে এ তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। আরও কিছু নেতা এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর তা সামাল দিতে না পারলে বিএনপি নতুন করে ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে পড়বে। সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লন্ডনে বসে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর তাকে সার্বিক সহায়তা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ আরও কয়েক জ্যেষ্ঠ নেতা। তারেক রহমানের সঙ্গে মিলে এসব নেতা দলীয় মনোনয়নসহ নির্বাচন পরিচালনার সকল কর্মকৌশল নির্ধারণ করেন। বিএনপির ৫৯২ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও সারাদেশের জেলা-উপজেলা কমিটির অধিকাংশ নেতা দলের নির্বাচনী কৌশলের বিষয়ে ছিলেন অন্ধকারে। তবে নির্বাচন চলাকালে কিছু না বললেও দলের ভরাডুবির পর এখন এক এক করে হাইকমান্ডের প্রতি ক্ষুব্ধ নেতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পোস্টমর্টেম : জাতীয় নির্বাচন-২০১৮’ এক উপ-সম্পাদকীয়তে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করার পাশাপাশি দলীয় ব্যার্থতার কথাও ফলাও করে তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে ব্যর্থতার বেশ ক’টি কারণ তিনি সুস্পষ্টভাবেই তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে দলের আপন আর কে পর তা বিএনপি চিহ্নিত করতে পারেনি। আর এ জন্য নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে। তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামালেরও সমালোচনা করেন। এর আগে দলীয় এক অনুষ্ঠানে নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করে অবিলম্বে দল পুনর্গঠনের দাবি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ। এরপর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন আহমেদ জামায়াতকে জোটে রাখায় নির্বাচনে বিএনপির নেতিবাচক ফল হয়েছে উল্লেখ করে স্বাধীনতাবিরোধী এ দল থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। এ ছাড়া একটি দৈনিক পত্রিকায় সাক্ষাতকার দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান নির্বাচনে খারাপ ফলের জন্য কে দায়ী তা সরাসরি না বললেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, রাজনীতি করতে হলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আসতে হবে। তিনি একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াতকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানও জানান। আর বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এখন তারেক রহমানকে অন্তত ২ বছরের জন্য বিএনপির রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে তারেকের চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তের বিপরীতমুখী বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বিএনপির উচিত সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়া। এ সময় তিনি জাতীয় নির্বাচনেও কিছু ভুল কৌশল ছিল বলে উল্লেখ করেন। এদিকে বিএনপির নিজস্ব কৌশলের পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ও এ জোটের আহ্বায়ক ড. কামালের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিএনপি নেতারা। এ বিষয়ে বিএনপি নেতারা এখন প্রকাশ্যে বলতে শুরু করেছেন। এ নিয়ে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য শরিক দলের মধ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তৈমুর আলমের লেখা উপ-সম্পাদকীয়তে নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য দলীয় হাইকমান্ডের ব্যর্থতার বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ফজর নামাজ পড়ে কেন্দ্র পাহারা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে একটি প্রশ্ন থেকে যায়, কেন্দ্র পাহারা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন নিজে কেন সারাদিন কেন্দ্রে অবস্থান নেননি? যিনি দেশবাসীর ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন, তিনি কেন ভোটকেন্দ্রে শুধু মিডিয়ায় নিজ বক্তব্য দিয়েই দায়িত্ব শেষ করলেন? ঐক্যফ্রন্ট নেতা হিসেবে তার কেন্দ্রে অবস্থানের মাধ্যমে কেন্দ্র পাহারা দেয়ার সংবাদ যদি চাউর হতো তবে দেশব্যাপীসহ অনেক নেতাই তাকে অনুসরণ করে কেন্দ্রে অবস্থান করত। ভোটের দিন প্রথমভাগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের কাছে যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তাও দলের জন্য নেতিবাচক হয়েছে বলে এখন বিএনপি নেতারা বলাবলি করছে। এ বিষয়ে তৈমুর আলম খন্দকার লিখেছেন, ‘ভোটের দিন বেলা প্রায় ১১টার দিকে ভোটের স্বাভাবিকতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কোন যুক্তিতে, তাও জনগণের সামনে পরিষ্কার হওয়া বাঞ্ছনীয়।’ এ ছাড়া অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী যিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, বিএনপির বদৌলতে মন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত পদ একোয়ার করেছিলেন, তিনিও জনগণের ভোটাধিকার প্রশ্নে নীরবতাই পালন করে গেলেন। বিনিময়ে নিজ পুত্রসহ দলীয় সম্পাদককে সংসদ সদস্য পদে অধিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। ‘অন্য দিকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে তাকে অপসারণের জন্য বিএনপির ওপর তিনি প্রতিশোধমূলক ভূমিকা নিলেন কি না, এটাও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য তিনি আন্দোলন করবেন না বলে ইতঃপূর্বে সাফ জানিয়েছিলেন। অন্য দিকে তাকে অপসারণের ক্ষেত্রে বিএনপি ভিন্নপথ অবলম্বন করলেও পরিস্থিতি এত দূর হয়তো গড়াত না। তা ছাড়া, সতর্ক করে দেয়া বা সংশোধন করার সংস্কৃতি রাজনীতি থেকে কি উঠে গিয়েছিল? বন্ধু যখন শত্রু হয় তখন সে শত্রুতা চরমে চলে যায়।’ তৈমুর আলম লিখেছেন, ‘অন্য দিকে বি. চৌধুরীকে বাদ দিয়ে অধ্যাপক ইয়াজউদ্দীনকে বিএনপি রাষ্ট্রপতি পদে বসাল, সে ব্যক্তির নির্বুদ্ধিতা ও কাপুরুষতার জন্যই বিএনপির দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যার ঘানি এখনো টানতে হচ্ছে। ‘ইয়েস’ উদ্দিনের মতো একজন মেরুদ-হীন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করে বিএনপিকে চরম মূল্য দিতে হলো।’ অন্যদিকে নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি নেতাদের টেলিফোনিক বার্তা যখন ফাঁস হচ্ছিল, তাতেই তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মনোবল প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদের ভাষায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল যখন তার টেলিফোন ধরেন না তখন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কতটুকু সমন্বয় করা হয়েছে, তাও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বুঝতে বাকি ছিল না। এসব ঘটনা একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ওপর ব্যাপক প্রভাব রেখেছে। রাজনৈতিক দলের কাছে অর্থশালীদের ব্যাপক সমাদর অর্থাৎ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাও এবার বিএনপি প্রমাণ করেছে। সূত্র মতে, রাজনৈতিকভাবে চরম বেকায়দায় থাকা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে নতুন উদ্যমে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তারেক রহমানের নির্দেশে ড. কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হতাশ হন। অবশ্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের পর পুরোদমে নির্বাচনমুখী হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কিছু নেতা নাখোশ থাকলেও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারেক রহমানের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির কিছু সিনিয়র নেতা ‘মনোনয়ন বাণিজ্য’ শুরু করলে আবার দলের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। বিশেষ করে দলের যেসব নেতা মনোনয়ন বঞ্চিত হন তারা চরম ক্ষুব্ধ হন এবং নির্বাচনকালে বিএনপিকে সহযোগিতা না করে পরোক্ষভাবে অসহযোগিতা করেন। আর এ কারণেই কোন কোন এলাকায় বিএনপির ভাল অবস্থান থাকার পরও বেশ ক’টি আসনে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়। এর ফলে সার্বিকভাবে সারাদেশের ৩শ’ আসনের মধ্যে মাত্র ছয়টি আসন পায় বিএনপি। আর বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকা গণফোরাম পায় আরও দুটি আসন। সব মিলিয়ে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র ৮ আসন। এর মধ্যে গণফোরামের ২ জন সংসদে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ায় নতুন করে ফের বেকায়দায় পড়ে বিএনপি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খোদ বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্য থেকেই এখন অভিযোগ উঠেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পরই খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারেনি। সবার আগে বিএনপির এক আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ ও ব্যারিস্টার মওদুদ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য দলের নেতৃত্বকে দায়ী করেন। এ ছাড়া তারা অবিলম্বে জাতীয় কাউন্সিল করে দল পুনর্গঠনের দাবি জানান। তাদের এ বক্তব্যে নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য কাকে দায়ী করা হয়েছে সরাসরি না বললেও এর জন্য পরোক্ষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন। আর এ কারণেই তারেক রহমান তাদের প্রতি চরম ক্ষুব্ধ হন। আর এ ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটান সম্প্রতি বিএনপির উপজেলা নির্বাচনের তফসিলের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে কাউকে কোন কথা বলতে না দিয়েই লন্ডনে বসে স্কাইপিতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনার পাশাপাশি এ সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় তারেক রহমান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কারাগার থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র নেতাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রেখে আলাপআলোচনার ভিত্তিতে সময়োপযোগী কৌশল নির্ধারণ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামালের সহযোগিতা নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও সে নির্দেশনা মতো কাজ করতে পারেনি বিএনপির সিনিয়র নেতারা। ৩শ’ সংসদীয় আসনে দলীয় মনোনয়নসহ সব সিদ্ধান্ত লন্ডনে বসে তারেক রহমান দিয়েছে চাপিয়ে। এ কারণে দলের সর্বস্তরের অনেক নেতাকর্মী গা-ছাড়া ভাব দেখিয়ে নির্বাচনে বিজয়ের জন্য তেমন চেষ্টা করেননি। অনেক সিনিয়র নেতা প্রার্থী হয়েও ভোট চাইতে যাননি। তারেক রহমানের প্রতি ক্ষুব্ধ থাকার কারণেই তারা নির্বাচনকে বেশি গুরুত্ব দেননি। তাদের দেখাদেখি তৃণমূল নেতাকর্মীরাও নির্বাচনের বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর এ জন্যই নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের কিছু ব্যর্থতা তো ছিলই। যেমন, দলে সমন্বয়হীনতার অভাব ছিল। দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে আরও কৌশলী হওয়া দরকার ছিল। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদেরও আরও সক্রিয় হওয়ার দরকার ছিল। বিশেষ করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি দলের জন্য আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করতেন তাহলে ভাল হতো। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার জনকণ্ঠকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমি একটি পত্রিকায় লিখেছি। এ নির্বাচনে সরকারও নির্বাচন কমিশনের অপকৌশল ছিল। তবে বিএনপিরও কিছু ভুল ছিল। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কে আপন কে পর তা দল চিনতে পারেনি। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে খারাপ ফল থেকে বিএনপিকে তিনটি বিষয়ে শিক্ষা নিতে হবে। প্রথমত বিএনপি নেতাদের মধ্যে কারা এ নির্বাচনে কাজ করেনি। দ্বিতীয়ত কারা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেছে। তৃতীয়ত নির্বাচনকালে দলীয় নেতাদের মধ্যে কারা দলের পক্ষে কাজ করেছে। এ সব বিষয় বিশ্লেষণ করে কারা দলের আপন আর কারা পর তা ভবিষ্যতে খেয়াল রাখতে হবে। পরবর্তীতে বিএনপি পুনর্গঠনের সময় পরীক্ষিতদের দিয়ে কমিটি গঠন করে তাদের নিয়ে আন্দোলন করে এগিয়ে নিতে হবে।
×