ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হ্যামিল্টন টেস্টে পাঁচদিন খেলতে চান রোডস

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২ মার্চ ২০১৯

 হ্যামিল্টন টেস্টে পাঁচদিন খেলতে চান রোডস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হ্যামিল্টন টেস্টে বাংলাদেশ দল যখন ব্যাট করছিল তখন মনে হয়েছে এই উইকেটে ব্যাটিং করাটা বেশ কঠিন। কিন্তু দ্বিতীয়দিনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড অনায়াসে ব্যাটিং করেছে। বাংলাদেশের বোলাররা স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি। সে কারণে বোলিং বিভাগে নির্ভরযোগ্য পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের অনুপস্থিতিটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। কোচ স্টিভ রোডস অবশ্য জানিয়েছেন ফিটনেস সমস্যার কারণেই মুস্তাফিজ এই টেস্টে খেলছেন না, তবে দ্বিতীয় টেস্টে তিনি খেলবেন। বাংলাদেশী বোলাররা সফল না হলেও কিউই পেসাররা দারুণভাবে সফল হয়েছেন। তবে তামিম ইকবাল দেখিয়েছেন প্রতিপক্ষের শর্ট অব লেন্থে করা বলে কিভাবে খেলতে হয়। রোডস জানিয়েছেন সেটা করতে পারলে এখনও এই টেস্টে ভাল কিছু করা সম্ভব। তাই হ্যামিল্টন টেস্টের শেষদিন পর্যন্ত (পুরো ৫ দিন) খেলার আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। হ্যামিল্টন টেস্টের দ্বিতীয়দিন শেষেই মুস্তাফিজের অনুপস্থিতি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত তিন অনভিজ্ঞ পেসার ৬৬ ওভার বল করে উইকেটশূন্য। সেখানে অনিয়মিত পেসার সৌম্য সরকার তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১২ টেস্ট খেলেছেন মুস্তাফিজ। আর এই টেস্টে খেলা তিন পেসার মিলে খেলেছেন পাঁচ টেস্ট। আবু জায়েদ রাহী তার চতুর্থ টেস্টে খেলছেন। খালেদ আহমেদ খেলছেন দ্বিতীয় টেস্ট। আর হ্যামিল্টনেই অভিষেক হয়েছে এবাদত হোসেনের। মুস্তাফিজের না খেলার বিষয়ে রোডস বলেন, ‘ব্যাক টু ব্যাক টেস্ট ম্যাচে বল করাটা তার (মুস্তাফিজ) জন্য আসলেই কঠিন। টেস্ট ম্যাচে তাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে হয়। পরের ম্যাচে তার ফেরার সব সুযোগই আছে। এখান থেকেই আপনারা বুঝতে পারছেন পরের টেস্টে ও খেলতে যাচ্ছে। ওয়েলিংটনে প্রচুর বাতাসের মুখোমুখি হতে হবে। সে কারণে ওখানে তাকে খেলাতে চেয়েছি। বাতাসে সে আমাদের সেরা বোলার। ওয়েলিংটনে তার অনেক দায়িত্ব বলেই এ ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।’ কোচ রোডস জানিয়েছেন, ওয়েলিংটনের রিজার্ভ বেসিনে ৮ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন মুস্তাফিজ। প্রবল বাতাসের জন্য পরিচিত রিজার্ভ বেসিনে তিনি বাড়তি সুবিধা পাবেন বলেই আশা কোচের। শর্ট অব লেন্থের বলে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা ঘায়েল হলেও বাংলাদেশী বোলাররা একই পদ্ধতিতে সফল হতে পারেননি। শুধু তামিম ইকবাল দেখিয়েছেন কিউই পেসারদের বিপক্ষে কোন্ পদ্ধতিতে খেলতে হবে। সে জন্য ১২৬ রানের বড় ইনিংসও পেয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে রোর্ডস বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানদের শর্ট বলে মানিয়ে নেয়া শিখতে হবে। তামিম কিন্তু দেখিয়েছে এটা সম্ভব। আমরা ম্যাচটাকে পাঁচদিনে নেয়ার জন্য চেষ্টা করব। আমার মনে হয় আজ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে আমরা কিছুই আদায় করে নিতে পারিনি। তাদের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা অনেক বেশি ভাল খেলেছে। তারা খুব ভালভাবে বলগুলো ছাড়তে পেরেছে এবং খুব ভালভাবে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে পেরেছে।’ বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ দলের অবস্থা এমন হলেও দেশের মাটিতে পরিচিত কন্ডিশনে দুর্দান্ত একটি দল। এ বিষয়ে রোডস বলেন, ‘বাংলাদেশে গিয়ে অনেক দলই এখন জয়ের রাস্তা খুঁজতে গিয়ে মাথা চুলকায়। আর কেবল আমরাই কিন্তু বিদেশে গিয়ে সংগ্রাম করি না। আমাদের নিজস্ব একটা সূত্র আছে, যেটা আছে দেশের মাটিতে খুব ভাল কাজ করে। অন্যরা কিন্তু সেই সূত্র না বুঝেও বিপদে পড়ে।’ এরপরও প্রথমদিন শেষ বেলায় আর দ্বিতীয়দিন পেসাররা যেভাবে বল করেছে তাতে তাদের অভিজ্ঞতার অভাবটা কি আরও বেশি টের পাওয়া যাচ্ছে। রোডস অবশ্য পেসারদের, বিশেষ করে অভিষিক্ত এবাদতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাচ্ছেন না। শুধু বলছেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও বেশি পোক্ত হতে হবে তাদের। রোডস বলেন, ‘এবাদতের মতো কাউকে সমালোচনা করাটা একটু বেশিই কঠিন। সে দারুণ উদ্যমী, এখন একটু বেশি অভিজ্ঞতা দরকার তাদের। এসব জায়গায় উন্নতির বেশ কিছু সুযোগ আছে। লম্বা সময় ধরে লাইন ও লেন্থ ধরে রাখারও ব্যাপার আছে। উইকেটের জায়গা মতো একটা বড় সময় আপনাকে বল করে যেতে পারে। খালেদ, এবাদত, রাহীর জন্য এখানে শেখার অনেক কিছু আছে।’
×