ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান

প্রকাশিত: ১২:০২, ১ মার্চ ২০১৯

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস। এ উপলক্ষে পালিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল র‌্যালি, সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ডায়াবেটিস এমন এক রোগ, স্বাস্থ্যশিক্ষাই যার প্রধান চিকিৎসা। যথাযথ স্বাস্থ্যশিক্ষা পেলে একজন ডায়াবেটিস রোগী চিকিৎসকের ওপর নির্ভর না হয়ে এ রোগ ভালভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। শতকরা ৭০ ভাগ ডায়াবেটিস প্রতিরোধযোগ্য। ইচ্ছে থাকলেই তা প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে মহামারি আকারে ডায়াবেটিস ছড়িয়ে পড়েছে। গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি। এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত একটি র‌্যালি হয়। আর সকাল এগারোটায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এমপি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডায়াবেটিক সমিতির সহসভাপতি এ আর খান, মহাসচিব মোঃ সাইফউদ্দিন, বারডেমের মহাপরিচালক নাজমুন নাহার প্রমুখ। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে ডায়াবেটিস মহামারী আকার ধারণ করছে। ডায়াবেটিস যে হারে বাড়ছে তাতে আমাদেরকে এখনই এ রোগ প্রতিরোধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। আর যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের সচেতন করে তুলতে হবে, যাতে তারা ডায়াবেটিসকে সুনিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ, স্বাভাবিক ও কর্মঠ জীবন নিশ্চিত করতে পারে। ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি একে আজাদ খান বলেন, বর্তমানে যেসব রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ডায়াবেটিস একটি ভয়াবহ রোগ। কায়িক পরিশ্রমের অভাব, মুটিয়ে যাওয়া, ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্যের অভ্যাস ইত্যাদি কারণে দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিসের কারণ মানুষকে জানাতে হবে, সচেতন করতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস ও শ্রম অভ্যাস সম্পর্কে ব্যাপক সচেতন থাকতে হবে। সমিতির মহাসচিব মোঃ সাইফউদ্দিন ডায়াবেটিস সম্পর্কে পাঠ্যপুস্তকে একটি অধ্যায় সংযোজনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এতে ছাত্রছাত্রীরা সুস্থ জীবনধারা সম্পর্কে জানতে পারবে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। কোন রোগীর ডায়াবেটিস থাকলে তার চিকিৎসা ডায়াবেটিসমুক্ত রোগীর তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। শতকরা ৭০ ভাগ ডায়াবেটিস প্রতিরোধযোগ্য। ইচ্ছে থাকলেই তা প্রতিরোধ করা সম্ভব। বারডেমের মহাপরিচালক নাজমুন নাহার বলেন, ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস এবং শহরাঞ্চলে খেলাধুলার সুযোগ কমে যাওয়ায় শিশু-কিশোররাও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি ডায়াবেটিস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার প্রক্রিয়ায় তরুণদের সম্পৃক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন।
×