ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করবেন না ॥ কাদের

প্রকাশিত: ১১:১৮, ১ মার্চ ২০১৯

খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করবেন না ॥ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তাদের রাজনীতিই অভিযোগ নির্ভর। কাজেই তাদের অভিযোগের গুরুত্বটা বাস্তবে অতটা নেই। যতটা তারা মুখে বলেন। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা অসুস্থতার চেয়ে রাজনীতির ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করার যে পথ তারা বেছে নিয়েছেন এটা পরিহার করার আহ্বান জানাই। মন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া সুনির্দিষ্ট মামলায় আদালতের নির্দেশে জেলে আছেন। শারীরিকভাবে তাকে (খালেদা জিয়াকে) অসুস্থ করে রাখা বা অসুস্থতা হলে চিকিৎসা না করা এ অমানবিক বিষয়টি শেখ হাসিনার সরকার মোটেই ভাবছে না। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, বিরোধীদল (বিএনপি) এ নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম হবে। নির্বাচন ততটা প্রতিযোগিতামূলক না হলেও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন (ভোটগ্রহণ) শেষ হবে। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে বিরোধী দল (বিএনপি) না থাকার কারণে একেবারেই ভোটার শূন্য যে একটা অবস্থা দেখেছি সাদেক হোসেন খোকা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন সে অবস্থা অন্তত হবে না। ভোটাররা আসছে। ভোট কেন্দ্রে লাইন আছে। আশা করি এতটা প্রতিযোগিতামূলক বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলেও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হবে। পাক-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা ও অস্থিরতা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। উপমহাদশের ক্রসবর্ডার টেররিজম বা সীমান্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছে। সীমান্তে যে সব সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ১০ মার্চ কাঁচপুরের সেতুটি প্রধানমন্ত্রী নিজে উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। মে মাসের মধ্যে মেঘনা দ্বিতীয় সেতু উদ্বোধন করা যাবে ও জুন মাসের ১ম সপ্তাহে ঈদ-উল-ফিতরের আগেই গোমতি সেতু উদ্বোধনের বিষয়টি রয়েছে। আশা করছি আগামী ঈদ-উল-ফিতরের আগেই মেঘনা ও গোমতি সেতু নির্মাণ কাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করলে যান চলাচল উন্মুক্ত হবে। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এই তিনটি সেতুকে কেন্দ্র করে যে যানজট হয়, এ যানজটের তীব্রতা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। আশা করছি সামনের ঈদ-উল-ফিতর থেকে এ মহাসড়কে যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
×